Published : 19 Apr 2024, 04:00 PM
ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। কিন্তু আলাদা প্রশাসন এবং আর্থিকখাতে আরও বেশি স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন (ইএনপিও) রাজ্যে ‘জন জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে স্থানীয়দের ভোট বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে।
যার ফলে নাগাল্যান্ডের ছয়টি জেলায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ভোট প্রদানের হার প্রায় শূন্য বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ইএনপিও গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছে অভিযোগ তুলে ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা সংগঠনটির বিরুদ্ধে একটি নোটিস জারি করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, “সংগঠনটি পূর্ব নাগাল্যান্ড অঞ্চলে বসবাসকারীদের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অবাধ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার… অযাচিত প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে।”
ওই নোটিসে ইএনপিও কে কেনো তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৭১সি এর উপধারার অধীনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না তার কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই উপধারা অনুযায়ী, যদি কেউ কোনো অবাধ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় হস্তক্ষেপ করে বা করার চেষ্টা করে তবে সেটিকে নির্বাচনে অযাচিত প্রভাব বলে গণ্য করা হবে। আইনের চোখে যা দণ্ডযোগ্য অপরাধ।
নোটিসের জবাবে ইএনপিও বলেছে, তাদের গণ বিজ্ঞপ্তির ‘মূল লক্ষ্য’ ছিল ‘আমাদের এখতিয়ারের অধীনে পূর্ব নাগাল্যান্ডের যেসব অঞ্চল রয়েছে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং অসামাজিক উপাদানের সমাবেশ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করা’।
লোকজন ‘স্বেচ্ছায়’ ভোট দিতে যাচ্ছে না বলেও দাবি তাদের। বলেছে, এখানে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১সি উপধারা কার্যকর হবে না। কারণ, এখানে অযাচিত প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি’।
যদি এ বিষয়ে ‘কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকে বা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে’ তবে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি আছে।
গত ৮ মার্চ সেখানে ‘জন জরুরি’ অবস্থা জারি করা হয়।