Published : 03 Feb 2025, 02:05 PM
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২৩ কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে তুরস্ক। নিহতরা সিরীয় কুর্দিদের ওয়াইপিজির এবং তুরস্কের নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) ‘জঙ্গি সদস্য’ বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কুর্দি বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ধারবাহিকভাবে আঘাত হেনে চলেছে তুরস্ক। আঙ্কারা পিকেকে ও ওয়াইপিজিকে ‘অভিন্ন’ বলে বিবেচনা করে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র এদের পৃথক সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্র পিকেকে-কে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করলেও ওয়াইপিজিকে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান মিত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে।
ওয়াইপিজির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার জন্য তুরস্ক দীর্ঘ দিন ধরে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আসছে। ট্রাম্প পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের নীতি উল্টে দেবেন, এমন আশাও প্রকাশ করেছে আঙ্কারা।
ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তুরস্কের বাহিনী ও সিরিয়ায় তাদের মিত্র বাহিনীগুলো ঘনঘন কুর্দি বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়েছে।
তুরস্ক বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট কুর্দি বাহিনীগুলোর জোট সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সকে (এসডিএফ) অবশ্যই নিরস্ত্র করতে হবে অথবা তাদের সামরিক অভিযানের মুখোমুখি হতে হবে। ওয়াইপিজি এই এসডিএফ জোটের অন্যতম অংশীদার।
বাইডেন প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ২০০০ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। এসব মার্কিন সেনা এসডিএফ ও ওয়াইপিজির সঙ্গে মিলে বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেয়।