Published : 08 May 2025, 11:49 PM
নিজেদের তিনটি সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের সামরিক বাহিনী।
নয়া দিল্লির বরাতে বিবিসি বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও ড্রোন পাঠিয়ে এ হামলা চালায় পাকিস্তান।
এসব সামরিক স্থাপনার অবস্থান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু ও উদামপুরে এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ভারতের সামরিক বাহিনী বলেছে, এসব হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং হুমকি দূর হয়ে গেছে।
ভারতের এ দাবির বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তবে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে বিস্ফোরণ ও ব্ল্যাকআউটের খবর আসার পরপরই বিবিসির সঙ্গে কথা বলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
সেখানে তিনি হামলার কথা স্বীকার করেননি।
“আমরা এটা অস্বীকার করছি। আমরা এখন পর্যন্ত এমন কিছুই করিনি।”
তার ভাষ্য, যখন হামলা হবে, সবাই জানতে পারবে।
“আমরা আঘাত হেনে অস্বীকার করব না।”
ইসলামাবাদের দিকে থেকে প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা ভারতের পাঞ্জাব ও রাজস্থানে আগে থেকেই ছিল।
রাজ্য দুটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। সেখানে সব পুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি জনসমাগমে বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিন সকালে পাকিস্তানের প্রধামন্ত্রীর পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
দুই দেশের সামরিক উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ মাঝপথে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে আইপিএলের ম্যাচ।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার শোধ নিতে ভারত বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গোলা বর্ষণ করে।
পাকিস্তান বলেছে, ভারতের হামলায় তাদের অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অন্তত ১৫ জন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে দেশটির পুলিশ।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর অন্তত ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তবে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে তিনটি যুদ্ধবিমান ‘বিধ্বস্ত’ হওয়ার তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। ভারতের তরফে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
যুদ্ধ শুরুর এমন দামামা বেজে ওঠার পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠলে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকে শান্ত থাকার এবং সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার।