Published : 22 Aug 2024, 08:49 PM
ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা ঢলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বাহিনী দুটি মিলে ১ হাজার ৮১০ জনকে উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিস ২৬০ জনকে এবং বিজিবি ১ হাজার ৫৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বুধ ও বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ২৬০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস।
উদ্ধারকাজ চলমান থাকার তথ্য দিয়ে বার্তায় বলা হয়, উদ্ধারকাজের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখতে ঢাকায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল।
চট্টগ্রাম থেকে বিভাগীয় উপপরিচালকের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যেরে একটি দল এবং ঢাকা ও বরিশাল থেকে ১০ সদস্যের তিনটি উদ্ধারকারী দল ফেনী ও বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আটকে পড়া ১৩৯ জন পুরুষ, ৯৯ জন নারী (যাদের মধ্যে ২ জন গর্ভবতী) ও ২২ শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ১০২ এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু রয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি প্রয়োজনে মনিটরিং সেলের ০১৭১৩-০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বরে বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, খাগড়াছড়িতে বিজিবির রামগড় ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সর্বমোট ২৯৬টি পরিবারের ১৫৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে।
এছাড়া ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০টি অসহায় পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটির সীমান্তবর্তী ভূষণ ছড়া এলাকার বন্যা দূর্গত ৫০টি অসহায় পরিবারে মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে বাহিনীটির সদস্যরা।
বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন গোমতী নদীর তীরবর্তী বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া গোমতী নদীর তীরে ফাটল দেখা দিলে নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বালুর বস্তা ফেলে বাধ রক্ষার চেষ্টা করছে তারা।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অবিরাম বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫০ উপজেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন। আট জেলার চার লাখ ৪০ হাজার ৮৪০ টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।