Published : 22 Jun 2025, 02:15 PM
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘এন্ট্রি লেভেলের’ শিক্ষক পদে প্রার্থী বাছাইয়ে অনুষ্ঠিত অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে ‘ফেল করা’ প্রার্থীরা রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করলে, সেখানে জলকামানের পানি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের দুই পাশের সড়কে ওই প্রার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখালে সেখানে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “তারা সড়কের দুইপাশেই অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমরা তাদেরকে সরে যেতে অনুরোধ করেছিলাম, তাদের প্রতিনিধি সচিবালয়ে পাঠিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা অবস্থান অব্যাহত রাখে।
“তারা চেয়েছিল রাস্তা বন্ধ করে রাখবে, পরে উপদেষ্টা এসে তাদের সঙ্গে দেখা করবে। বার বার অনুরোধ করার পরেও তারা সড়ক না ছাড়ায় আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি।”
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভায় ভালো করলেও তাদের ‘ফেল করানো হয়েছে’। তাই তারা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ দাবি করছেন।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেও এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বার বার সড়কে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
আগের সপ্তাহে তারা ঢাকার ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষায় বসার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী।
গত ৪ জুন চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলে তাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ৫২১জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
অনুত্তীর্ণ ২৩ হাজার প্রার্থীর একাংশ রোববার সকাল থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
গত ১৫ জুন অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এনটিআরসিএকে দেওয়া স্মারকলিপিতে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীরা সনদ চান
সেখানে লেখা হয়, বিধি অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে পাস বলে গণ্য হবেন। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েই একজন পরীক্ষার্থী ভাইভার জন্য নির্বাচিত হন। আর ভাইভার ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ হচ্ছে অ্যাকাডেমিক রেজাল্টের ওপর। বাকি ৮ নম্বর ড্রেসকোড, আচরণ এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, যার মধ্যে ৩.২ নম্বর পেলেই প্রার্থীর পাস করার কথা।
“অনেকেই সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরেও ফেল করেছেন। যেটা ভাইভা বোর্ডের মনগড়া সিদ্ধান্ত ছিলো যা অনেক মেধাবী পরীক্ষার্থীর মনে দাগ কেটেছে।”
এই যুক্তিতে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।