Published : 30 May 2025, 12:13 AM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা লাগাতার কর্মবিরতি থেকে সরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সঙ্গে বৈঠকে দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক নেতারা।
‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের’ সভাপতি শাহিনুর আল-আমীন রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কর্তৃপক্ষ মনে করেন শিক্ষকদের প্রতিটি দাবি যৌক্তিক এবং দাবি বাস্তবায়নে তারা আন্তরিকভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
“তারা প্রতিপক্ষ না হয়ে সহযোগী হয়ে দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। চলমান কার্যক্রম সুষ্ঠু বাস্তবায়নের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের প্রতি সহযোগী মনোভাব রেখে কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আল-আমীন বলেন, “কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ইতিবাচক পরিবর্তন প্রায় চূড়ান্ত। ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন কার্যক্রম চলমান এবং দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে। সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে এবং খুব শিগগিরই শিক্ষক নেতাদেরকে সঙ্গে নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”
প্রাথমিকের শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছিলেন শিক্ষকরা।
তাদের দাবি- সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়া।
চতুর্থ দিনের মত বৃহস্পতিবারও তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। বিদ্যালয়ে গেলেও তারা পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি।
মোর্চাভুক্ত একই নামের আরেকটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ’ সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদের ছুটির পর দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ দেখা না গেলে মহাসমাবেশ বা রাজধানীতে শিক্ষকদের বড় জমায়েত কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।”
দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। তিনটি দাবিদাওয়া নিয়ে সহকারী শিক্ষকরা চার দিন ধরে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে ছিলেন।
সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।