Published : 16 Apr 2025, 07:20 PM
ঢাকার খিলগাঁও তালতলা এলাকায় ‘আপন কফি হাউজের’ সামনে তরুণীকে লাঠিপেটার ঘটনায় দোকানটির কর্মী শুভ সূত্রধর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এক দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার শুভকে আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার দায় স্বীকার তিনি জবানবন্দি দেন। ঢাকার মহানগর হাকিম জুয়েল রানা সেটি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুভর সঙ্গে এদিন আপন কফির ব্যবস্থাপক আল আমিনকেও কারাগারে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই মো. মহসিন। শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম নাজমিন আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার ফেইসবুকে ছড়ানো এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আপন কফি হাউজের সামনে এক তরুণীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সেখানকার এক কর্মী। পরে ওই তরুণীর দুই পায়ে দুই দফা লাঠি দিয়ে মারেন এক কর্মচারী।
ভিডিওটি ফেইসবুকে শেয়ার করে অনেকেই ঘটনার সমালোচনা করেন এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
সেদিন বিকাল ৩টার দিকে আপন কফির দুই কর্মীকে হেফাজতে নেওয়ার কথা বলেন রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ।
তিনি বলেন, ঘটনাটি গত ১১ তারিখের, সোমবার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কফি শপটির ব্যবস্থাপক আল আমিন ও কর্মচারী শুভকে আটক করা হয়। ভিডিওতে ওই তরুণীকে লাঠি দিয়ে যাকে পেটাতে দেখা গেছে সে শুভ।
তবে ভুক্তভোগী তরুণীর খোঁজ না পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ওসি বলেছিলেন, “আমরা ওই তরুণীকে বিভিন্ন মাধ্যমে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তাকে বা তার অভিভাবককে না পেলে পুলিশই বাদী হয়ে মামলা করবে।”
এরপর মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং ৩২৩ ধারায় মামলা করে রামপুরা থানা পুলিশ।
মামলায় বলা হয়েছে, আপন কফি হাউজে ১১ এপ্রিল বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে এই তরুণীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক আচরণসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেওয়া হয়’। বিষয়টি ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার জন্য আসামিরা তরুণীকে লাঠি দিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেন।
আল আমিন ও শুভকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে বিচারক তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তরুণীকে লাঠিপেটার ভিডিও ফেইসবুকে, 'আপন কফির' দুই কর্মী রিমান্ডে