Published : 26 May 2025, 07:43 PM
কারাগারে থাকা সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আইনবিষয়ক বই পড়তে চান। আইনজীবীর কাছে এ ধরনের বইও চেয়েছেন তিনি।
মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানিতে সোমবার আদালতে হাজির করা হয় পলককে। সেখানে তার আইনজীবীর কাছে বই চান তিনি।
এদিন সকাল ৯টার দিকে পলককে সিএমএম আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট ও পেছনে হ্যান্ডকাফ পরানো সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে লিফটে করে আদালত ভবনের নবম তলায় নেওয়া হয়।
কাঠগড়ায় তিনি হেলমেট ও জ্যাকেট খুলে দাঁড়ান। তখনো বিচারক এজলাসে ওঠেননি। এ সময় পলক তার দুই আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী এবং তরিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন।
পলক আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখীকে কারাগারে কয়েকটি বই পৌঁছে দিতে বলেন।
ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জানতে চান, কী কী বই দিতে হবে।
পলক ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি), দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে উন্নয়নের দর্শন এবং জাতীয় সংসদে জুনাইদ আহমেদ পলক- এই পাঁচটি বই চান।
১০টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনাইদ এজলাসে ওঠেন। পরে আদালত তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে।
কাঠগড়ায় থাকাবস্থায় আদালতের শুনানির দিকে মনোযোগী ছিলেন তারা। ১১টা ৫ মিনিটের দিকে শুনানি শেষে পলককে আবার আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী বলেন, “কারাগারে অবসর সময় তিনি বই পড়ে ও লেখালেখি করে সময় কাটান। তিনি পাঁচটি বই চেয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন কারাগারে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের কাছে বইগুলো দেব। তারা পৌঁছে দেবেন।”
আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা, অঙ্গভঙ্গিতে আলোচনায় থাকতেন পলক। কথা বলতেন সাংবাদিকদের সাথেও। তবে সোমবার নিশ্চুপ ছিলেন তিনি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত ৫ অগাস্ট মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় বিএনপিকর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১) আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২০ এপ্রিল নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী মিরপুর থানায় শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
গত বছরের ১৫ অগাস্ট নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে পলককে গ্রেপ্তার করা হয়।