Published : 07 May 2024, 04:36 PM
খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিচারককে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠার পর তিনি হাই কোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন।
বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চে হাজির হয়ে জহিরুল ক্ষমা চান।
শুনানি শেষে আদালত জহিরুল ইসলাম পালাশকে আগামী ৩০ দিন কোনো আদালতে কাজ না করার আদেশ দিয়েছে। তবে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১১ জুন দিন ঠিক করা হয়েছে।
গত ৩১ মার্চ জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে কটূক্তির অভিযোগ করেন খুলনা মহানগর আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম। তার দাবি, এর আগে আদালতেও তাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে।
বিচারক তরিকুল বিষয়টি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বরাবর অভিযোগ দেন এবং বিচার প্রার্থনা করেন। প্রধান বিচারপতি পরে বিষয়টি হাই কোর্টে পাঠান।
পিপি জহিরুল ইসলাম পলাশের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার রেজা-ই রাকিব।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেছেন, এটা এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে। এটা ক্ষমার ব্যাপার না; এগুলো বন্ধ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন বলেছেন।
“এ ছাড়া পিপি জহিরুল ইসলাম পলাশকে আগামী ৩০ দিন সব আদালতে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।“