Published : 03 Aug 2024, 11:48 PM
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সারা দেশে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা থেকে ফের সরে এল বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শনিবার রাতে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে রেলওয়ে বলেছে, রোববার থেকে সব রুটে ট্রেন বন্ধ থাকবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক সহিংতার জেরে ১৮ জুলাই থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার স্বল্প দূরত্বে সীমিত সংখ্যক ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দুই দিন চলার পর আবার তা বন্ধের ঘোষণা এল।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটু আগেই আমরা ডিজি মহোদয়ের কাছ থেকে একটা নোটিশ পেয়েছি। তাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী এবং ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
পরের দিন ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সেদিন ঢাকার মহাখালীতে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করা হয়। রেলপথের টঙ্গী-ভৈরব অংশের নরসিংদীতে রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলপথ অবরোধ করা হয়।
নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ১৮ জুলাই দুপরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ২৫ জুলাই ঘোষণা এসেছিল বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালার কথা জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
তবে বৃহস্পতিবার কোনো ট্রেন চলেনি। সেদিন রেল ভবনে এক বৈঠকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা বলেছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়।
গত বুধবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ কয়েকটি বড় শহর থেকে আশপাশের স্বল্প দূরত্বে কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরুর কথা বল হয়েছিল।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেকার আলম রাজন বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“আপাতত স্বল্প দূরত্বে কিছু ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এসব ট্রেন চলাচল করবে। দিনের বেলা যখন কারফিউ শিথিল থাকবে তখন চলবে ট্রেন।”
বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রাজবাড়ী ও ময়মনসিংহে কয়েকটি লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী এত দিন নানা দাবিতে কর্মসূচি দিলেও রোববার থেকে সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে অসহযোগের ডাক দিয়েছে। অসহযোগের রূপরেখায় গণপরিবহন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও ট্রেন চলাচলের বিষয়ে কিছু বলেননি শিক্ষার্থীরা।