Published : 19 Feb 2025, 07:23 PM
ঢাকার আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধদের মধ্যে শারমিন নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে আশুলিয়ার ওই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হল।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিন মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “৪২ শতাংশ বার্ন নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার অবস্থা আগে থেকেই ক্রিটিক্যাল হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
“শেষ চেষ্টা হিসেবে আজও একটা অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি।”
এর আগে গত রোববার ভোর রাতে শিউলি আক্তার এবং রোববার দুপুরে সুমন নামের আরও একজন মারা যান।
শিউলি আক্তারের শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং সুমনের শরীরের ৯৯ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় একটি বাসায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগে তিন শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়। তাদেরকে ওই রাতেই ঢাকার জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে আনা হয়।
তাদের মধ্যে জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৫), সূর্য বানু (৫০), সোহেল মিয়া (৩৮), শামিম (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুমাইয়া (৩) এখনো হাসপাতালে ভর্তি।
দগ্ধদের সমন্বিত চিকিৎসায় গত রোববার ২২ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
আশুলিয়ায় আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড
আশুলিয়ার আগুনে মৃত্যু বেড়ে ২