Published : 30 Oct 2022, 09:13 PM
আট বছর আগে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদের জেরে রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলশিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হত্যা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে বুধবার ঠিক করেছে আদালত।
রোববার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন তারিখ দেন বিচারক।
মামলার আসামিরা হলেন- ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, শাহিনুর বেগম, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, নান্নু মিয়া, ইমরান ও রাশিদ।
গত ১১ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ দিয়েছিল আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মো. ফারুকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য জানান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৬ বছর বয়সী মেহেদী হাসানের বাবা হাজী মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করেন। নান্নু ও শাহিনুর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ আছে। তাদের বাসার পাশেই মোশারফ হোসেনের বাসা। স্থানীয় লোকজনসহ মো. মোশারফ হোসেন ওই মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন।
২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান মামলার এক আসামি ওলি। মেহেদীর ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান।
সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন ওই বছর ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান।
২০১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মধ্যদিয়ে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।
২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর বিচারক রায়ের তারিখ ঠিক করেন।