Published : 22 Feb 2025, 01:06 AM
ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সঙ্গে সীমান্ত সম্মেলনে সশস্ত্র আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হওয়ার কথা বলেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)
মহাপরিচালক পর্যায়ের চার দিনের এই সম্মেলন শুরু হয় গত সোমবার; ভারতের নয়া দিল্লিতে।
শুক্রবার রাতে বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫৫তম এই সীমান্ত সম্মেলনে দুই দলের প্রতিনিধিদলে ১৩ জন করে সদস্য ছিলেন।
বিজিবির নেতৃত্বে ছিলেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। বিএসএফের নেতৃত্বে ছিলেন মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানান। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহ্বানও জানান তিনি।
"সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থায়ী স্থাপনা কিংবা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে দুই দেশের যৌথ পরিদর্শকদলের পরিদর্শন ও আলোচনায় গুরুত্বারোপ করা হয়।"
আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে
বিজিবি মহাপরিচালক ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক ও অস্ত্র পাচার রোধ, সোনাসহ অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান বন্ধ, অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মতো অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয় সম্মেলনে।
"সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।"
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসএফ মহাপরিচালক মানুষের জীবন ও মানবাধিকার চেতনার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে সীমান্তে হত্যা নিরসনে বিএসএফ কর্তৃক ‘অ-প্রাণঘাতী’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি মাদক পাচার ও চোরাচালান রোধসহ সীমান্তে শান্তির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘সারসংক্ষেপ’ তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা ও মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বাড়ানো হবে।
উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে, এমন তথ্য আদান-প্রদান করা হবে।
সীমান্তে হত্যা সংঘটিত হলে যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।
আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন ও জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণের বিষয়ে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হওয়ার কথাও তুলে ধরা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয়পক্ষ সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার আওতায় পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশংসা করে।