Published : 01 Feb 2025, 10:52 PM
দুর্বল তদন্ত ও অপেশাদার প্রসিকিউশন ন্যায়বিচারের অন্তরায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহেমেদ।
শনিবার রাজশাহীতে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুপ্রিম কোর্ট ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি যৌথভাবে রাজশাহীর গ্র্যান্ড রিভার ভিউ হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করেছে বলে সুপ্রিম কোর্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে জারি করা অধ্যাদেশের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অগ্রগতির তথ্য দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
কৌঁসুলিদের দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, “দুর্বল তদন্ত ও অপেশাদার প্রসিকিউশন বাংলাদেশে ন্যায়বিচারের অন্যতম অন্তরায়। প্রসিকিউটরদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির ন্যায়বিচার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।”
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথক সচিবালয় বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
প্রস্তাবিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিচারিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে বলে তিনি মনে করেন।
ইতোমধ্যে পৃথক সচিবালয় গঠনের জন্য একটি বিশদ প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন থাকার বিষয়টিও তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে ইউএনডিপির বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা।