Published : 24 May 2025, 08:10 PM
কোনো একক সংস্থার পক্ষে সড়কে শৃঙ্খলা আনা কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব না; সে কারণে সব কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ এসেছে এক আলোচনা সভায়।
শনিবার ঢাকার বনানীর বিআরটিএ ভবনে আয়োজিত ‘সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় টেকসই উদ্যোগ এবং সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমের জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এ খাতে বাজেট বাড়ানোরও আহ্বান রেখেছেন।
রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সংলাপে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় শুধু সড়ক নয়, আরও অনেক কিছু জড়িত। এ খাতে সমন্বিত উদ্যোগের অভাব আছে।
“বাংলাদেশে যা দেখছি, আমাদের মেইন ফোকাস হচ্ছে সড়ক, সেতু নির্মাণ করব এবং পরে তা রক্ষণাবেক্ষণ করব। এটা আমাদের ফোকাস। কিন্তু আমাদের ফোকাস করতে হবে রোড ইউজার যারা, তাদের জন্য কী করা হবে।
“আমাদের সরকার স্বল্প সময়ের জন্য এসেছে। আমরা প্রক্রিয়াটি শুরু করতে পারি। আশা করি পরবর্তী সরকার এসে জিনিসটাকে দেখবে। পুরো বিষয়টি একটি আমব্রেলার নিচে থাকা থাকা দরকার।”
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এবারের জাতীয় বাজেটে সড়ক পরিবহন খাতের ব্যয়ের ১৩ শতাংশ সড়ক নিরাপত্তায় ব্যয় করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
“২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে একটি বিশেষ সড়ক নিরাপত্তা ইউনিট গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই ইউনিট সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করবে, গতিসীমা সাইনবোর্ডগুলো ঠিকভাবে বসানো হয়েছে কি না এবং সেগুলো কতটা কার্যকরভাবে মানা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করবে।”
সংলাপের শুরুতে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় নানা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন বলেন, রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কোম্পানিভিত্তিক যানবাহন পরিচালনা করতে হবে।
“আর কোনো উপায় নাই। তা না হলে শৃঙ্খলা কখনোই আসবে না। ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ডাম্পিংসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ডিটিসিএর জ্যেষ্ঠ রোড সেফটি স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম, বিআরটিএর সাবেক বোর্ড সদস্য আবদুল হক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রকৌশলী শাহীন সরকার, ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হোসাইন, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান বক্তব্য দেন।