Published : 21 May 2025, 05:54 PM
রাজধানীর ডেমরায় রানা নামে এক যুবককে হত্যার মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া চার আসামি আট বছর পর পুনর্বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন। সেইসঙ্গে আগে যাবজ্জীবন পাওয়া দুজনের সাজা বহাল রেখেছে আদালত।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী বুধবার এ রায় ঘোষণা করেছেন।
যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- মাসুদ, আল আমিন ওরফে আলম, শফিকুল ইসলাম ওরফে রবিন ও জাহাংগীর হোসেন। আগে যাবজ্জীবন পাওয়া বাবলা ও মনির হোসেন নামে দুজনের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর একই আদালতের বিচারক আবদুর রহমান সরদার চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াস উদ্দিন বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাই কোর্টে পাঠানো হয়। শুনানিতে হাই কোর্ট দেখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। পরে উচ্চ আদালত মামলাটি পুনরায় বিচারের জন্য পাঠায়।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় আদালত। ২০২৪ সালের জুন মাসে নথি বিচারিক আদালতে আসে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য, আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি আর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় দিল।
রায় ঘোষণার আগে আল আমিন, শফিকুল ইসলাম, মাসুদ ও বাবলাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। মনির ও জাহাংগীর পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ডেমরা থানার শূন্যচেংড়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ফাঁকা জমিতে রানার মরদেহ পেয়েছিল পুলিশ। পরদিন ডেমরা থানার এসআই আবুল কালাম হত্যা মামলা করেন। এরপর মাসুদ ও আল আমিন গ্রেপ্তার হলে আদালতে ‘হত্যার দায় স্বীকার করে’ জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
তদন্ত ২০০৯ সালের ৩১ অক্টোবর ছয়জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।