Published : 07 Aug 2023, 12:11 PM
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারাই বৈধ বা স্বীকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বিষয়টি জানিয়ে এ বিষয়ে একটি পরিপত্র বা নির্দেশনা জারির অনুরোধ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে নিয়োগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ নানা কাজে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। এজন্য সরকারি দপ্তরগুলো থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়ে সেগুলো সঠিক কিনা তা জানতে চাওয়া হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সব তালিকা যাচাই-বাছাই করে নতুন করে উপজেলাভিত্তিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা করা হচ্ছে। এই সমন্বিত তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় লিখেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ, ভর্তি, ব্যাংক ঋণ, চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমন্বিত তালিকায় প্রকাশিত নামই বৈধ বা স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত।
এজন্য সমন্বিত তালিকা যাচাই করে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃত হলে পরবর্তী কার্যক্রম স্ব-স্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্ম তারিখ ১৯৫৯ সালের ৩০ মে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর তারিখে ১২ বছর ৬ মাস কিংবা এর আগে হতে হবে বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এর পরেও কোনো বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পত্রালাপ করতে বলা হয়েছে।