Published : 15 Jan 2024, 05:15 PM
কানাডায় খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাজ্যে শিখদের সক্রিয় আন্দোলন এবং তা ‘দমনে’ তৎপরতার বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসছে।
পশ্চিমের অনেকে দেশেই বিপুলসংখ্যক শিখ অভিবাসী আছেন। ইদানিং যুক্তরজ্যেও শিখদের মধ্যে আন্দোলনের পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রভাবশালী কয়েকজন শিখ নেতার মৃত্যু নিয়ে শোনা যাচ্ছে গুঞ্জন, তাদের একজন অবতার সিং খান্দা।
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে শিখদের আলাদা রাষ্ট্র খালিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পরিচিত মুখ ৩৫ বছরের অবতার গত জুনে বার্মিংহামে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।
তবে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ জোর দিয়ে দাবি করেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেছে এবং সন্দেহজনক কিছু পায়নি।
ব্রিটিশ শিখরা দীর্ঘদিন ধরেই ‘অযাচিত চাপ অনুভব করার’ অভিযোগ করে আসছেন। সে দেশে শিখ অভিবাসীদের ‘চরমপন্থা’ নির্মূল করতে যুক্তরাজ্য সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে ভারত।
ডামবারটনের লেবার কাউন্সিলর এবং আইনজীবী গুরপ্রীত জোহাল বলেন, তার পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে সেটাই তাকে রাজনীতিতে আসতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
ছয় বছর আগে গুরপ্রীতের ভাই সুপরিচিত খালিস্তানপন্থি নেতা জগতার জোহাল বিয়ে করার জন্য ভারতে গেলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তাকে বিনাবিচারে এখনও কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। জোর করে তার জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।
একটি মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছে, জগতার যে ভারতে গেছেন, সে খবর সে দেশের সরকারকে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাই দিয়েছিল।
ব্রিটিশ শিখ সংগঠন জগতারের ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কোনো ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়া বৈষম্যমূলকভাবে তাকে আটক করা হয়েছে অভিযোগ করে জগতারের মুক্তি চেয়েছে জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ। যুক্তরাজ্য সরকার এক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জাস্টিন ট্রুডো ‘ঠিক কাজ’ করেছেন মন্তব্য করে গুরপ্রীত জোহাল বলেছেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী তার নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেখানে যুক্তরাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছে। নাগরিকদের রক্ষা করার চেয়ে যুক্তরাজ্য সরকার সম্ভবত ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতেই বেশি আগ্রহী।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অবশ্য ‘যত দ্রুত সম্ভব’ জগতার জোহালের বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা প্রায়ই যুক্তরাজ্যে শিখদের তৎপরতার বিষয়টি আলোচনার টেবিলে তোলেন। সংবাদসূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)