Published : 29 Oct 2024, 01:53 AM
সরকারি চাকরিবিধি ভঙের বিভিন্ন অভিযোগে বছরখানেক আগে বরখাস্ত হওয়া এক কর্মচারী ফেইসবুক লাইভে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু।
অধিদপ্তরের সন্মানহানি করায় তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট অধিদপ্তর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে বলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তিনি।
“পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে অসৌজন্যমূলক, অশালীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন ওই কর্মচারী। এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং এটা অপরাধ।”
অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রায় এক বছর আগে মাফতুল হোসেন নামে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিককে বরখাস্ত করা হয়। এরে আগে একবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন তিনি।
তার বরখাস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে সহকর্মীদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হওয়া, বদলি হওয়ার পরও কাজে যোগ না দেওয়া, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১২৯ কর্মদিবসের মধ্যে ৮৪ দিন অনুপস্থিত থাকাসহ সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার তথ্য সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
রোববার ফেইসবুক লাইভে মাফতুল দাবি করেছেন তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তার দুর্ঘটনার সময়টিকে কর্তৃপক্ষ আমলে না নিয়ে তার প্রতি অন্যায় করেছে।
তার দাবি, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন অচেতন ছিলেন। তার পরিবারও বিষয়টি জানত না। পরে তিনি চেতনা ফিরে পেলে বিষয়টি অফিসকে জানান। অফিস তার বিষয়টিকে কোনো আমলই নেয়নি।
তাছাড়া ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং তাকে গালিগালাজ করার অভিযোগ এনেছেন মাফতুল।
এ ব্যাপারে মাফতুলের বক্তব্য জানতে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। মেসেজ পাঠিয়েও মেলেনি উত্তর।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু মনে করেন, ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য ছড়ানোর ঘটনা অসৎ উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।