Published : 12 May 2025, 06:47 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশাচালক ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং রাশেদ খান মেননকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চার দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক জাফর আলী বিশ্বাস কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুইজনের পক্ষে জামিনের আবেদন ছিল না বলে জানিয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আবুল বাশার।
গত ১৯ মার্চ ইনু-মেননকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ৫ অগাস্ট দুপুর ১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা ফ্লাইওভারের কাছে গুলিবিদ্ধ হন ওবায়দুল ইসলাম। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী মরিয়ম ৮ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
রিমান্ডে শাহে আলম মুরাদ
জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমন্ডিতে মো. রিয়াজ (২৩) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ ফারজানা হক সোমবার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র পরিদর্শক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার গত ৪ মে শাহে আলম মুরাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ১২ মে ধার্য করেন।
এদিন শাহে আলম মুরাদের উপস্থিতিতে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। তারপক্ষে আইনজীবী ওবাইদুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় বলে জানান মুরাদের আইনজীবী ওবাইদুল ইসলাম।
গত ১৭ এপ্রিল উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরদিন তাকে পল্টন থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ধানমন্ডি থানার রিয়াজ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড নেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গতবছরের ৪ অগাস্ট রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ অগাস্ট বিকালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।