Published : 26 Oct 2024, 08:09 PM
বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে ধর্মপালন, ধর্মচর্চা ও প্রচারের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।
“কোন দুর্বৃত্তকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ সরকার দেবে না। যারা উপাসনালয়ে হামলা করে পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চায় তারা দুর্বৃত্ত, তাদের কোন ধর্মীয় পরিচয় নেই। শান্তি, সামাজিক সংহতি ও শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতি অপরিহার্য।”
শনিবার সকালে ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ এর এক সংলাপে কথা বলেন খালিদ হোসেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি: বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ বজায়ে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে আমাদের যা কিছু অর্জন, তার পেছনের বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদান রয়েছে।”
সংলাপ অনুষ্ঠানে হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার সভাপতিত্ব করেন।
সেখানে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শ্রী হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনন্দপ্রিয় বক্তব্য দেন।
সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা 'বাংলাদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতি: ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল-ইসলাম ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ: এ বাংলাদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অর বিলিফ লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্টের’ প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার শাহনাজ করীম সংলাপে বক্তব্য দেন।