Published : 04 Jul 2024, 06:07 PM
এক ছাত্রীর বাবার করা ধর্ষণ মামলায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং সাবেক অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
বাদীর নারাজি আবেদন নাকচ করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শওকত আলী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী।
সিনথিয়া ইসলাম তিশা নামের এক ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা মুশতাক ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের ১ অগাস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮-এ মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।
মামলাটি তদন্ত করে সে বছরের ১৪ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা। মামলা দায়েরে ‘তথ্যগত ভুল হয়েছে' উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
সেখানে বলা হয়, ওই ছাত্রী আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ স্বেচ্ছায় ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে তিনি বিয়ে করেন। বিজয়নগর কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ পূর্ণ হলে তাকে বিয়ে করেন মুশতাক। এক্ষেত্রে ওই ছাত্রীকে কেউ কোনো ধরনের প্ররোচনা দেয়নি।
ওই প্রতিবেদনের ওপর গত ৩ মার্চ নারাজি আবেদন করেন তিশার বাবা। শুনানি শেষে বাদীর আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তের জন্য ১৪ মার্চ পিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারক।
পিবিআইও অব্যাহতির সুপারিশ দিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন দাখিল করে। এ প্রতিবেদনেও নারাজি দাখিল করেন বাদী। গত ১৩ জুন শুনানি শেষে আদালত আদেশের বৃহস্পতিবার দিন রেখেছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, “বিভিন্ন অজুহাতে মুশতাক কলেজে আসতেন এবং তিশাকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে তাকে বিভিন্ন ‘প্রলোভন’ দেখাতেন। কিছু দিন পর মুশতাক তিশাকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় তিশাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে এবং তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়ার হুমকি দেন।”
বাদীর ভাষ্য, অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি, বরং মুশতাককে ‘অনৈতিকভাবে সহযোগিতা’ করেন। এরপর গত ১২ জুন তিশাকে তাদের ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। মুশতাক লোকজন দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে তাকে ‘অপহরণ’ করেন।”