Published : 25 Sep 2024, 11:50 PM
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম ইব্রাহিম খলিল বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে সহিংসতা চালানো, জাল ব্যালট তৈরি এবং অবৈধভাবে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে ১৪ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে সমিতির দায়িত্বে বসানোর অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার আর্জিতে।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আক্তারুজ্জামান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ৪০ থেকে ৫০ জন ‘সন্ত্রাসী প্রকৃতির অজ্ঞাতনামা আইনজীবী এবং যুবলীগের সদস্য’ এজাহার নামীয় কয়েকজন আসামির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে ‘সহিংসতা’ চালায়। ওই ঘটনার সময় প্রায় ১০০ জন বিশেষ পুলিশ সদস্যও সেখানে উপস্থিত থেকে আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে সহিংসতা চালাতে ‘সহায়তা’ করে।
এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন প্রক্রিয়া ‘ধ্বংস করে স্বৈরাচারীভাবে’ ১৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বলে বাদীর অভিযোগ।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, আসামিদের কার্যক্রমের ফলে আইনজীবী সমিতির ইতিহাস ও মর্যাদার ‘অপমান’ হয়েছে এবং এতে বাদীর পেশাগত জীবনে প্রভাব পড়েছে।
বাদীর অভিযোগ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন, তৎকালীন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসসহ রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ‘ইন্ধন, পরিকল্পনা এবং নির্দেশনায়’ এ ঘটনা ঘটে এবং এর পেছনে তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের সমর্থন ছিল, যার ফলে বাদী এতদিন মামলা করতে পারেননি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক আব্দুর নুর দুলাল, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা ই রাকিব, ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম, মোতাহার হোসেন সাজু, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোর্শেদ, আইনজীবী মনিরুজ্জামান, ওয়াকিলুর রহমান, আজাহারুল্লাহ ভুইয়া, ওয়াজিউল্লাহ, সৌমিত্র সর্দার, শুভ, কাজল রশিদ বিশ্বাস, ব্যারিস্টার ইমরান, আসাদুজ্জামান মনির, মিজান, জগলুল কবির, সাইফ, শাহনেওয়াজ, মুকিম।
এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনের সুপ্রিম কোর্ট ইনচার্জ মোহাম্মাদ মমিন, সাবেক ডিসি হারুন, শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ, এসি রমনা বায়েজীদুর রহমান, রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল আল মাসুম, নিউ মার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুক, শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. মাহফুজুল হক ভুইয়া ও গোলাম মোস্তফা, নায়েক মো. বাকী বিল্লাহ, কনসটেবল মো. মঈনুদ্দীন, কিবরিয়া ও রকিবুল ইসলাম।