Published : 30 Sep 2024, 01:52 PM
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র’ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি করা সাজা পরোয়ানা প্রত্যাহার করে আদালতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও প্রত্যাহার ও ফেরতের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মাহাবুবুল হক।
গত ২২ সেপ্টেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ মামলায় শফিক রেহমানের সাজা আপিলের শর্তে এক বছরের জন্য স্থগিতের কথা জানানো হয়।
এরপর সোমবার সকালে শফিক রেহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সাজা পরোয়ানা প্রত্যাহার ও ফেরতের আবেদন করেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আদালতে দুটি পিটিশন দিয়েছিলাম। একটি পিটিশনে তার সাজা স্থগিতের বিষয়টি অবহিত করেছি এবং অপর পিটিশনের মাধ্যমে তার সাজা পারোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রি-কলের আবেদন করেছিলাম। আদালত সম্মতি দিয়েছেন।
“প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে আপিল করা যাবে। আমরা সই মুহুরী নকল হাতে পেলেই যথা সময়ে আপিল করব। এখানে মোট সাজা সাত বছর হওয়ার কারণে কেউ কেউ বলছেন বিষয়টি হাই কোর্টে আপিল করতে হবে। তবে যেহেতু পাঁচ বছর এবং দুই বছরের দুইটি ভিন্ন সাজা, তাই এটি মহানগর দায়রা আদালতেই আপিল করা যাবে। তবে কোথায় আপিল করব এটা আমরা ভালোভাবে জেনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
একই মামলায় রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বন্ধ হওয়া যাওয়া আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ অগাস্ট যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট পল্টন থানায় পুলিশের করা এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি।
ছয় বছর পর গত ১৮ অগাস্ট যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক।