Published : 29 Jun 2025, 01:20 AM
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর হামলা, হয়রানি ও অনলাইনে লিঙ্গভিত্তিক ‘অপতথ্য’ ছড়ানোর নানা ঘটনা বিশ্লেষণ করে 'মিডিয়া মনিটরিং রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গবেষণাধর্মী সংগঠন— ভয়েস।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
দেশের সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং সেগুলোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত খবর পর্যালোচনার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,তাদের প্রতিবেদনে মতপ্রকাশ, বাকস্বাধীনতা, সংগঠন বা সমাবেশ করার মত মৌলিক অধিকার 'গভীর সংকটে' পড়ার তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলা ট্রিবিউনের নগর সম্পাদক উদিসা ইসলাম, ইউএনডিপির সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির যোগাযোগ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরামর্শদাতা এস এম মনজুর রশিদ, মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক রেজাউর রহমান লেনিন এবং ওয়ান ফিউচার নেটওয়ার্কের ফেলো ও গবেষক মাহপারা আলম।
শুরতে বক্তারা সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা, গণগ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার প্রবণতা এবং কবি-লেখকদের মতপ্রকাশের কারণে হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
উদিসা ইসলাম বলেন, "সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। একেকটি মামলায় ৩০০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হচ্ছে, যার মধ্যে সাংবাদিকও রয়েছেন। এ ধরনের মামলা ভয়ভীতি প্রদর্শনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।"
রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, "এই প্রতিবেদনটি বর্তমান সময়ের সংকুচিত গণতান্ত্রিক ও নাগরিক পরিসরের একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এতে যে সুপারিশ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে, তা শুধু গবেষণার আলমারিতে বন্দি না রেখে অবশ্যই নীতিনির্ধারকদের টেবিলে পৌঁছাতে হবে।"
লিঙ্গভিত্তিক অপতথ্য ছড়ানো রোধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ফেসবুক, টিকটকসহ বড় প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান মাহপারা আলম।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, "নারীদের অনলাইন ও জনপরিসরে অংশগ্রহণের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লিঙ্গভিত্তিক অপতথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর সহিংসতা।"