Published : 30 Jan 2025, 12:51 PM
ভোটার তালিকা আইন, সীমানা নির্ধারণ আইন, পর্যবেক্ষণ নীতিমালাসহ একগুচ্ছ আলোচ্যসূচি নিয়ে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন।
সকালে বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কমিশনের তৃতীয় সভা চলছে।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, কমিশনের তৃতীয় সভায় ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ পর্যালোচনা; জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ পর্যালোচনা; নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৩ এবং গাইডলাইনস ফর ইন্টারন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভার অ্যান্ড ফরেন মিডিয়া পর্যালোচনা; নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ভাতার হার নির্ধারণ এবং প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষক নির্বাচন বিষয়ে পর্যালোচনাসহ বেশ কিছু বিষয় রয়েছে।
আলোচ্যসূচিতে আরও রয়েছে-
>> বিভিন্ন দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের শর্ত/পদ্ধতি/সীমাবদ্ধতা পর্যালোচনা।
>> নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নীতিমালা পর্যালোচনা।
>> ডিআরএস সম্পর্কিত বিষয়াদি পর্যালোচনা।
>> ব্ল্যাঙ্ক কার্ড সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা।
>> প্রস্তাবিত জাতীয় নির্বাচনি পদক নীতিমালা, ২০২৫ এর উপর আলোচনা।
>> আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মেয়াদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা।
>> নির্বাচন কমিশনে বিদ্যমান প্যানেল আইনজীবী তালিকা হালনাগাদকরণ বিষয়ে আলোচনা এবং বিদ্যমান সম্মানী/ফি কাঠামো পর্যালোচনা।
যে দুটি সংশোধন প্রস্তাব রয়েছে
>> সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনের ৬(২) ও ৮(৩) উপধারা সংশোধনের প্রস্তাব উঠছে। ৬(২) উপধারায় বিদ্যমান বিধানের সঙ্গে ‘যতদূর সম্ভব সংশ্লিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক অবস্থা ও অবস্থান এবং সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা এবং ভোটার সংখ্যার সামঞ্জস্য রাখার’ প্রস্তাব করা হয়েছে।
>> ভোটার তালিকা আইনের ধারা-৩ ও ১১তে সংশোধনী প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে উপধারা ৩(জ) এ বিদ্যমান বিধানের সঙ্গে ‘যৌক্তিক বিবেচনায় ঘোষিত অথবা নির্ধারিত অন্য কোনো তারিখ’ সংযোজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে জানুয়ারির প্রথম দিন ছাড়াও অন্যদিন হালনাগাদ তালিকা প্রকাশের সুযোগ থাকে। আর যে ১১(৩) উপধারা সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে কারণ উল্লেখ করে যেকোনো সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে পারবে ইসি।
ইইউ বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎ
কমিশন সভার আগে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণতন্ত্র বিশেষজ্ঞ মাইকেল লিডর সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ বিষয়ে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “উনারা দু’সপ্তাহ ধরে দেশে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের মতবিনিময়ের ফিডব্যাক দিতে এসেছেন তারা। সব লেভেলে একটাই কথা- সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কমিটমেন্ট রয়েছে রয়েছে সবক্ষেত্রে।
“প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থাপনার মধ্যে যাতে আনতে পারি, সে বিষয়ে পরামর্শ বা মডেল থাকলে শেয়ার করতে বলেছি।”
এটি ‘জটিল প্রক্রিয়া’ হলেও তারা বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, “আরেকটা বিষয়- ভোটারদের ভেতরে আস্থা ফেরানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। বিশেষ করে সচেতনতা, যোগাযোগ সিস্টেমকে আরও জোরাল করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।”
আরও পড়ুন