Published : 12 Feb 2025, 12:45 PM
হাই কোর্টের রায়ে নিয়োগ বাতিল হওয়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত প্রার্থীরা তৃতীয় দিনের মত শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
নিয়োগ বাতিল হওয়া কিশোরগঞ্জে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী তহুরা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "উপস্থিতি বাড়লে মোড় অবরোধ করা হবে৷ দুইদিন কী হইছে দেখছেনই তো। আমাদের তো বসতে দিচ্ছে না, দাঁড়াতে দিচ্ছে না।"
চাঁদপুরের সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী নাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, যতদিন না পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে যোগদান নিশ্চিত করা হবে না ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
"আমাদের আপুদের হেনস্তা করছে, এটার বিচার দাবি করছি। এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? এরা কোন আইনে আমাদের গায়ে হাত তুলে?"
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে কোটায় নির্বাচিত হওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফল বাতিল করে হাই কোর্ট। আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন করে ফল প্রকাশের আদেশও দেয়। সেদিন রাত থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা।
ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার দুপুরে শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা শাহবাগ মোড় আটকে অবস্থান নিলে তাদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর রাত থেকে তারা শাহাবাগে অবস্থান নেন। এর আগে তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানে ছিলেন তারা।
গত শুক্রবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তার বাসভবন যমুনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের কাছে আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, "হাই কোর্টে একটা রায় হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি রায় পুনর্বিবেচনার জন্য।"