গভীর সমুদ্রে পর্যটকদের শ্বাসরুদ্ধকর ১০ ঘণ্টা
কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রতিদিন সকালে জাহাজ যায়, বিকালে ফেরে। তবে শনিবার এমভি কর্ণফুলী ও এমভি বার আউলিয়া ‘ইঞ্জিনে ক্রটি’র কারণে সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ায় দ্বীপটিতে আটকা পড়েন শত শত পর্যটক। পরে চট্টগ্রাম থেকে এমভি বে ওয়ান জাহাজ এলে তাদের ফেরার সুযোগ মেলে। দেরিতে হলেও সন্ধ্যায় জেটি ছাড়তে পারেন পর্যটকরা। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে দুই হাজারেরও বেশি যাত্রী তোলায় জাহাজ ছাড়ার পরপরই শুরু হয় অব্যবস্থাপনা। যাত্রীদের আসন দিতে না পারা, খাবার সঙ্কটসহ নানান সমস্যার মধ্যে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে জনরোষ থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দেন বে ওয়ানের বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী। অবশেষে তিন ঘণ্টার পথ প্রায় আট ঘণ্টায় পাড়ি দিয়ে শেষ রাতে জাহাজটি কক্সবাজারে পৌঁছলে নামতে গিয়ে যাত্রীরা পড়েন আরেক সংকটে। গভীর সমুদ্রে নোঙ্গর করে তখন বে ওয়ান জাহাজ থেকে যাত্রীদের বার আউলিয়া জাহাজে তোলা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই জাহাজে উঠে অবশেষে ভোর ৪টায় কক্সবাজারে পৌঁছান পর্যটকরা।
ঢাকার এই পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন যেতে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের টিকেট কিনেছিলেন বিজনেস ক্লাস লাউঞ্জে। ফিরতি পথে এমভি বে ওয়ান জাহাজে তাদের কোনো আসনই দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পুরো পথ জাহাজের মেঝেতে বসে-শুয়ে ফিরতে হয় তাদের।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2022, 07:44 PM
Updated : 18 Dec 2022, 07:44 PM