Published : 06 Aug 2023, 10:58 PM
ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে এইডিস মশাবাহিত রোগটি মোকাবেলায় উন্নত গবেষণার মাধ্যমে টিকা উদ্ভাবনের দাবি জানানো হয়েছে এক আলোচনা সভায়।
সেই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ড ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা ব্যবস্থার তাগিদও দেওয়া হয়।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘পরিবেশ ও সামাজিক অভিঘাতের প্রেক্ষিতে ডেঙ্গুর প্রসার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই তাগিদ আসে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা।
সরকারের রোগগত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, “ডেঙ্গু এখন আর শহুরে রোগ না, বরং এটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
“দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করতে হবে। যারা পজিটিভ হবেন, তাদেরকে বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহারের আয়তায় আনতে হবে।”
উন্নত গবেষণা করে টিকা উদ্ভাবন ও তা প্রদানের তাগিদ দেন তিনি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় না। সে কারণে দেশে প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। যে সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে অনেক বেশি আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করছে।
“আক্রান্তের তুলনায় পরীক্ষা কেন্দ্র খুবই সামান্য। দেশে এতোদিন ধরে হাজার হাজার মানুষ মারা গেল, অথচ এ রোগ নিয়ে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।”
তিনি দেশে জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাব রাখেন। পাশাপাশি দ্রুত ডেঙ্গুর টিকা সংগ্রহ ও প্রদানের দাবি জানান।
বাপা সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা’র সহ-সভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব।
ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক এম আবু সাঈদ, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন।