Published : 30 Jan 2024, 06:15 PM
প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি পাট ও চামড়াজাত পণ্যসহ দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ইকোনোমিক মিনিস্টার ও কমার্শিয়াল কাউন্সেলরদের নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
এছাড়া আগামী ২০২৫ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যে ২৩টি দেশে কমার্শিয়াল কাউন্সেলরদের দপ্তর রয়েছে সেসব দেশের অন্তত একটি করে স্টল মেলায় নিশ্চিত করতে এখন থেকে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশ্বের ২৩টি দেশে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সেলরদের সঙ্গে রপ্তানি বাজার বাড়ানো নিয়ে মতবিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রপ্তানি বাজার বহুমুখীকরণের বিভিন্ন নির্দেশনার পাশাপাশি আমদানি পণ্যেরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার কথা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।
এতে বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য যেসব পণ্য বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে সেগুলোর মূল্য পর্যালোচনা করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতেও কাউন্সেলরদের নির্দেশনা দেওয়া হয় বৈঠক থেকে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানির চেয়ে যেসব দেশ থেকে আমদানি বেশি হয় সেসব দেশে বিকল্প কোন পণ্য রপ্তানি করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি কোনো বাণিজ্য বাধা (ট্যারিফ-নন ট্যারিফ) থাকে সেটিও দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি কমার্শিয়াল কাউন্সেলরদের তাদের কর্মস্থলের দেশের প্রধান ১০টি আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের দামসহ মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানোর নির্দেশনাও দেন।
এর মাধ্যমে কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে তা খুঁজে বের করে রপ্তানির ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
আলোচনাকালে প্রতিটি দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে টিটু তাদের সঙ্গে নিয়মিত সভা-সেমিনার করে বাংলাদেশি পণ্যের ব্র্যান্ডিং করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে তা বাস্তবে রূপ দিতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরতা কমিয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণের উপর জোর দিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে অ্যাগ্রোফুড, সি ফুড, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাইসাইকেল, ফার্নিচার ও চাসহ অনেক রপ্তানিযোগ্য পণ্য রয়েছে। এগুলো রপ্তানির নতুন বাজার ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে জরুরিভিত্তিতে আমদানির জন্য বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে। এককভাবে কোনো দেশের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।”
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনলাইন সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইসএম আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।