Published : 02 Jul 2025, 11:35 PM
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য বলছে, অর্থের পরিমাণে আগের অর্থবছরের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৮১ কোটি ডলারের বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলার।
বুধবার ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার তথ্য দেন।
ইপিবির তথ্য বলছে, পুরো অর্থবছরের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হলেও একক মাস হিসেবে জুনে রপ্তানি কমে গেছে আগের বছরের একই মাসের চেয়ে।
একক মাস হিসেবে সদ্য শেষ হওয়া জুনে ৩৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের জুনের চেয়ে যা ২৭ কোটি ২৪ লাখ ডলার বা ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের জুনে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬১ কোটি ডলার।
সরকার পতন আন্দোলনকে ঘিরে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে আন্দোলন সংঘাতে দেশে উৎপাদন ব্যাহত হয়। ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। আন্দোলন-সহিংসতা ও পরবর্তী কয়েক মাস অর্থনীতির জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল।
গত সেপ্টেম্বরের পুরোটা ও অক্টোবর মাসের শুরুতে শ্রম অসন্তোষের মাত্রা ছিল সর্বোচ্চ অবস্থানে। ওই সময়ের সেপ্টেম্বরে রপ্তানি নেমে আসে ৩৫২ কোটি ডলারে, যা একক মাস হিসেবে অর্থবছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। বিদায়ী অর্থবছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে সর্বনিম্ন রপ্তানি হয় গত এপ্রিলে ৩০১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে মোট রপ্তানির মধ্যে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ৯৩৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের এ সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৬১৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
অপরদিকে টেক্সটাইল খাতে রপ্তানি হয় ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৮৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।
সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। এ খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১১৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের অর্থবছরের আয় ছিল ১০৩ কোটি ৯১ লাখ ডলার।
কৃষি পণ্য থেকে আয় এসেছে ৯৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের অর্থবছরের রপ্তানি ছিল ৯৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।
অন্য পণ্যের মধ্যে প্লাস্টিকে ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ, রাবার ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ, হস্তশিল্পে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এছাড়া কাঠ ও কাঠজাতীয় পণ্যে রপ্তানি কমেছে আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ এবং পাট ও পাট পণ্যে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।