Published : 09 Feb 2023, 11:36 PM
চার মাস কমার পর আবার বাড়ল উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েলের দর; দেশি এয়ারলাইন্সের জন্য লিটারপ্রতি ছয় টাকা দরবৃদ্ধি মধ্যরাত থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশি এয়ারলাইন্সের জন্য ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ দর বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটার জেট ফুয়েল (জে এ- ওয়ান) ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায়। জানুয়ারিতে এ দর ছিল ১১২ টাকা।
অপরদিকে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দর ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বাড়িয়ে ৯০ সেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৮৫ সেন্ট করে।
বিপিসির উপ মহাব্যবস্থাপক শাহরিয়ার মো. রাশেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বিমানবন্দরগুলোর জন্য জেট ফুয়েলের এ দর নির্ধারণের তথ্য জানায়।
কোভিড মহামারীকালে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে জেট ফুয়েলের দাম বাড়তে শুরু করেছিল। ওই মাসে প্রতি লিটারের দাম ছিল ৪৬ টাকা, যা বাড়তে বাড়তে গত সেপ্টেম্বরে গিয়ে ১২৫ টাকায় পৌঁছায়। পরের চার মাসে তা কিছুটা করে কমে জানুয়ারিতে ১১২ টাকা হয়।
দেশে জেট ফুয়েলের বর্তমান দরকে অতিরিক্ত বলে মনে করছে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)।
জেট ফুয়েলের দাম দেড় বছরে বেড়েছে ১১৭%
সংগঠনের মহাসচিব ও বেসরকারি নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান অভিযোগ করে সম্প্রতি বলেন, একটি সরকারি সংস্থার (বিপিসি) হাতে এ তেল সরবরাহের দায়িত্ব থাকায় সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, “আমরা কিন্তু বরাবরই বলে আসছি, আমাদের দেশে তেলের দাম অতি মূল্যায়িত একটা বিষয়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথেই আমাদের দেশে তেলের দামটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যখন আবার বিশ্ববাজারে তেলের দামটা আগের জায়গায় আসে, তখন আমাদের দেশে কিন্তু দামটা আর সমন্বয় করা হয় না, সেই বাড়তিই থাকে।
“যার ফলে আমরা কিন্তু ব্যবসায়িকভাবে প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সরকারের বিভিন্ন মহলে বারবার দেন-দরবার করছি, কিন্তু এটার কোনো সুরাহা হচ্ছে না।”
তেল সরবরাহে একাধিক কোম্পানির যুক্ততা থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।