Published : 06 Dec 2022, 11:11 PM
‘অতিরিক্ত করের কারণে’ বাংলাদেশের মোবাইল গ্রাহকরা আরও সাশ্রয়ী ডেটা সেবা পাচ্ছে না বলে মনে করেন রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম।
তিনি বলেছেন, “বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুলনামূলক আমরা অনেক কম খরচে ডেটা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবুও সেটা অনেকের কাছেই সাশ্রয়ী হচ্ছে না মূলত উচ্চ কর হারের কারণে। করের বোঝা একটু কম হলে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের ডেটা সেবা দেওয়া সম্ভব।”
মঙ্গলবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
টিআরএনবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে'র সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন। তিনি উল্লেখ করেন, “২০০৯ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আমাদের রাষ্ট্রীয় পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য এখন আমাদের টেলিকম, আইটি, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইফিসিয়েন্সি বাড়ানো, সার্ভিস কস্ট কমানো, ডিজিটাল লিটারেসি, ডিভাইস পারচেজিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মোবাইল অপারেটরদের বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এজন্য প্রয়োজনে ইনসেনটিভ দেওয়া উচিত।"
টেলিটকের ইনোভেশন অফিসার এবং আইটি অ্যান্ড বিলিং বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নুরুল মাবুদ চৌধুরী বলেন, "আমাদের আইসিটি উপদেষ্টা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য রোবোটিকস, সাইবার সিকিউরিটিসহ চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। সমন্বিত ডেটা ম্যানেজমেন্ট করতে পারলে আমরা স্মার্ট হতে পারবো।"
নগদের চিফ বিজনেস অফিসার শেখ আমিনুর রহমান বলেন, "টেলিকম দিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়, এখন সবার কোলাবোরেশান হলে স্মার্ট বাংলাদেশ খুব বেশি দূরে নয়।"
এটুআইয়ের চিফ ই-গভর্ন্যান্স স্ট্র্যাটেজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ বলেন, "ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল হওয়ার পরে মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য সিটিজেন, সোসাইটি, ইকোনমি ও গভর্নেন্স এই চারটি পিলারের কথা বলেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ কোয়ানটিটি নির্ভর না হয়ে কোয়ালিটি নির্ভর হবে।"
এমটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, "স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ডিভাইস যারা ব্যবহার করেন তাদের স্মার্ট লিটারেসির প্রয়োজন আছে।"
জিএসএমএ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মোবাইল ফর ডেভেলপমেন্ট পরিচালক রাহুল সাহা বলেন, "স্মার্ট ডিভাইসের জন্য বাংলাদেশের ট্যাক্স পৃথিবীর দ্বিতীয় শীর্ষে। এই প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে।"
বাংলালিংকের সিসিও তাইমুর রহমান বলেন, "২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে টেলিকম অপারেটররা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু পৃথিবীর সর্বোচ্চ ট্যাক্স পলিসি বাংলাদেশে। আমাদের পলিসিতে নজর দিতে হবে।"
অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, "পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন সিক্সজি নিয়ে কাজ করছে, তখনও আমরা ফাইভজিতে যেতে পারিনি। আমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ডাটা কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ইউনিভার্সিটিগুলোর সাথে ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয় এবং আইসিটি, তথ্য, টেলিকমসহ মিনিস্ট্রিগুলোকে সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।"