Published : 12 Jul 2023, 05:33 PM
ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞায় এক বছর বিরতি দিলেও আবার রাশিয়া থেকে মিউরেট অব পটাশ বা এমওপি সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সার কেনার আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনকে (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পোডিনটর্গ বা জেএসসি ফরেন ইকনোমিক করপোরেশনের কাছ থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার টন মিউরেট অব পটাশ বা এমওপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি কেজি সারের দাম পড়ছে ৩৭ টাকা ২৭ পয়সা।
একই দামে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের কাছ থেকে দুই লটে এক লাখ টন এমওপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট খরচ হচ্ছ ৩৭২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
রাশিয়া থেকে সার কিনতে জুনের শুরুতে দেশটিতে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যায়। তারা বছরে এক লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার কিনতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে।
এছাড়া বিসিআইসির জন্য ১৮তম লটে কাতারের মুনতাজাতের কাছ থেকে ৮৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭০ টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার, ১৯তম লটে ৯৭ কোটি ৫৮ লাখ ১ হাজার টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিসিআইসির জন্য কাফকো থেকে ৯৬ কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া; বিসিআইসির জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কাফকোর কাছ থেকে ৯৭ কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৬২৫ টাকায় প্রথম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
বিএডিসির জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মাদায়েন থেকে ১৯৩ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকায় ৫ম লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনায় সায় মিলেছে।
প্রায় ১৬ লাখ টন জ্বালানি তেল দেবে সিঙ্গাপুরের দুই কোম্পানি
সিঙ্গাপুরের দুটি কোম্পানির কাছ থেকে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানিরও অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে।
পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এক্সিলারেট এনার্জি পিএলের কাছ থেকে দুই কার্গো এলএনজিও কেনা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- বিপিসির জন্য ২০২৩ সালের জুলাই টু ডিসেম্বর সময়ে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় ইউনিপ্যাক সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে প্যাকেজ-এ ও ই এবং ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে প্যাকেজ বি, সি ও ডি এর মাধ্যমে মোট ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টন জ্বালানি তেল ১২ হাজার ২৭৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি কিনতে খরচ হবে ৫৭২ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০ টাকা। সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া নেবে ৫৪৪ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ১৬০ টাকা।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার পেরেনটিস আকালের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি কেনার নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জন্য দুটি ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাংকার এবং দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ অর্থাৎ মোট ৪টি জাহাজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন’- ২ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৭ টাকায় জাহাজ দুটি বিক্রি করবে।