Published : 06 Jul 2024, 06:38 PM
চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা থেকে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে শনিবার বিকাল ৩টায় মিছিল নিয়ে তারা রায় সাহেব বাজার মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ সদস্যরা। এরপর শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজার থেকে তাঁতীবাজারে গিয়ে সড়ক অবরোধ করলে গুলিস্থান থেকে সদরঘাট, বাবুবাজার ও ধোলাইখালের পথে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোচ্ছিলাম, ঠিক রায়সাহেব বাজার মোড়ে এসে পুলিশ আমাদের মিছিলে বাধা দেয়। মিছিল নিয়ে তাঁতীবাজার পৌঁছালে সেখানেও পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দেয়।”
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া আরেক শিক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জসীম উদ্দিন বলেন, “আমাদের আন্দোলনের পঞ্চম দিনে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে পথসভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিচ্ছেন।”
বিক্ষোভ-মিছিল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণাও দেন আন্দোলনকারীরা।
কোতোয়ালি থানার এডিসি মো. বদরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা দুই ঘণ্টা ধরে শান্তভাবে আন্দোলন করেছে।”
শিক্ষার্থীদের ৪ দাবি
• ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
• ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
• সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
• দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।