Published : 11 May 2025, 06:52 PM
সাপ্লাই চেইন, বিক্রয় বিশ্লেষণ, গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও অভ্যন্তরীণ দক্ষতা উন্নয়নে ‘আধুনিক প্রযুক্তি’ সংযুক্ত করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।
প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রমে প্রযুক্তিনির্ভরতা বাড়ানোর পাশাপাশি ডিজিটাল রূপান্তরে জোর দিয়েছে জানিয়ে ‘অটোমেশন, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স ও কনজিউমার ইনসাইটসের’ মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও ‘দ্রুত, সঠিক এবং গ্রাহককেন্দ্রিক’ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “উন্নত অ্যালগরিদম ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি বুঝতে পারছে কোন এলাকায় কোন সময় কী ধরনের পণ্যের চাহিদা। ফলে গ্রাহক পাচ্ছেন সময়মতো কাঙ্ক্ষিত পণ্য, আরও সহজ ও সন্তোষজনকভাবে।”
এই প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ বিভিন্ন দোকানের বিক্রয় প্রবণতা ও স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড প্রস্তাবনা দিচ্ছে তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের, যা দোকানে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবারাহ দিকটা অনেক সহজ করে তুলছে বলে জানানো হয়েছে।
ইউনিলিভার বলছে, ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় রেখে তারা বিনিয়োগ করছে এআই, নেট রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল ফ্যাক্টরি মডেল এবং লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের মতো প্রযুক্তিতে, যাতে করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আরও বেশি তথ্যনির্ভর ও কার্যকর হয়।
“এআই ও ডেটাভিত্তিক উদ্ভাবনের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ শুধু প্রযুক্তি গ্রহণেই থেমে নেই; বরং সেগুলোর কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে কীভাবে সর্বোচ্চ গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা নিশ্চিত করা যায়, সেটিও সমান গুরুত্বে বিবেচনা করছে। কারণ, তাদের লক্ষ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ডেটা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসাকে আরও গ্রাহকবান্ধব করে তোলা।”
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ ১৯৬২ সাল থেকে দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ হয়ে উঠেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের প্রতি ১০টি পরিবারের ৯টিতে ইউনিলিভারের কোনো না কোনো পণ্য ব্যবহৃত হয়। ১৯৭৩ সাল থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩৯.২৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
বর্তমানে বিপণনকৃত ৯৬ শতাংশ পণ্য দেশেই উৎপাদিত হয় এবং এর সঙ্গে যুক্ত আছেন শত শত বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এছাড়া, পণ্যের বিপণন ও বিতরণ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন দেশের প্রায় ১০ লক্ষ খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা।