চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
Published : 02 Mar 2025, 11:24 AM
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে শুরুর অনেকগুলো দিন গ্লেন ফিলিপসের পরিচয় ছিল উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। এখন আর তার হাতে কিপিং গ্লাভস থাকে না। তবে অনেকেই মনে করেন, তার হাতে মাখানো থাকে আঠা! এই যেমন সংবাদ সম্মেলনে এক সংবাদকর্মী তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কোনো নির্দিষ্ট ধরনের আঠা কি আপনি ব্যবহার করেন…?
প্রশ্ন শেষ না হতেই ‘হো হো’ করে হেসে উঠলেন ফিলিপস। বাস্তবে তো আর এটা সম্ভব নয়! তবে এরকম বিভ্রম ছড়িয়ে দেন আসলে তিনি নিজেই। কিপার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা একজন ক্রিকেটার এখন নিয়মিত বোলার। সীমিত ওভারের তো বটেই, টেস্ট ক্রিকেটেও খেলেন স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে। ব্যাট হাতে তিনি যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্যই বিপজ্জনক। তবে সবচেয়ে বেশি বিস্ময় জাগায় তার ফিল্ডিং।
বৃত্তের ভেতরে হোক বা সীমানায়, মাঠের যে কোনো জায়গায় তিনি অসাধারণ এক ফিল্ডার। বিশ্বের সেরা বললেও হয়তো দ্বিমত করবেন না অনেকে। অবিশ্বাস্য সব ক্যাচ তিনি নিয়মিতই নেন মাঠের নানা জায়গায়। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই যেমন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ নিয়েছেন অভাবনীয় ক্ষিপ্রতায়। গতি, রিফ্লেক্স, পূর্বানুমান, স্কিল, সবকিছু মিলিয়ে তিনি দুর্দান্ত।
ওই প্রশ্নকর্তা দ্রুতই পরিষ্কার করে দিলেন, মজা করেই তিনি আঠা লাগানোর কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি জানতে চাইলেন অত্যাশ্চর্য সব ক্যাচ আর ফিল্ডিংয়ের রহস্য। ফিলিপস উত্তর দিলেন মজার সুরেই।
“আমার মনে হয়, ভাগ্যের এখানে বড় রকমের সম্পৃক্ততা আছে। ভালো লাগত, যদি বলতে পারতাম যে বিশেষ কোনো আঠা ব্যবহার করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাপারটি তা নয়। বরং অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে আমার হাতের তালু ঘামে বেশি!”
“হ্যাঁ, কঠোর পরিশ্রমের ভূমিকা তো আছেই এখানে। মৌলিক ব্যাপারগুলি ঠিকঠাক করতে চাই মাঠে নেমে। আর কখনও কখনও সৌভাগ্যের একটা অবদান থাকে এখানে।”
ব্যাট হাতেও এই আসরে ভালো ফর্মে আছেন ফিলিপস। প্রথম ম্যাচে তার ৩৯ বলে ৬১ রানের ইনিংস বড় ভূমিকা রেখেছিল নিউ জিল্যান্ডকে শেষ ১০ ওভারে ১১৩ রান তুলতে। পরের ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ২১ রান করে। ভারতের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে দুবাইয়ের উইকেটে ফিলিপসের অফ স্পিন হয়তো বেশি দরকার হবে দলের।
এমনিতে ভারত-নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচটির গুরুত্ব তেমন একটা নেই এই গ্রুপের জন্য। যে দলই জিতুক, ভারত সেমি-ফাইনাল খেলবে দুবাইয়ে, নিউ জিল্যান্ডকে ফিরতে হবে লাহোরে। তবে ছন্দ ধরে রাখার জন্য জয়টাকে জরুরি মনে করেন ফিলিপস।
“গ্রুপের শীর্ষে থেকে শেষ করতে পারলে দারুণ আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে সেমি-ফাইনালে যেতে পারব আমরা। এছাড়াও দিন শেষে, এরকম একটি টুর্নামেন্টে সম্ভব হলে সব ম্যাচই আমরা জিততে চাই। ক্রিকেটে মোমেন্টাম একটি দারুণ ব্যাপার। মাঠে নেমে তাই আমরা চেষ্টা করব প্রতিটি ডেলিভারিতে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে, পারিপার্শ্বিকতা যেমনই থাকুক।”