Published : 28 Jan 2025, 06:40 PM
পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান চূড়ায়। শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলাও নিশ্চিত হয়ে গেছে বেশ আগেই। এখন স্রেফ নির্ভার থেকে প্রাথমিক পর্বের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলার কথা রংপুর রাইডার্সের। তবে এই পর্যায়ে এসেও একটু দুর্ভাবনা সঙ্গী হয়েছে তাদের। টানা দুটি ম্যাচে যে হারতে হয়েছে তাদের! কোচ মিকি আর্থারের মতে, কয়েকদিনের বিরতিতেই এই একটু গতি হারিয়েছে তার দল। শিরোপার লড়াইয়ের মূল পর্বের আগেই আবার চেনা ছন্দে দলকে দেখতে চান তিনি।
গত ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামে যখন চিটাগং কিংসকে হারাল রংপুর রাইডার্স, আট ম্যাচে সেটি ছিল তাদের অষ্টম জয়। অন্য সব দলের চেয়ে ভিন্ন এক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল তারা। এমনকি শক্তি-সামর্থ্যে সমমানের দল ফরচুন বরিশালকেও দুটি ম্যাচে হারিয়েছিল নুরুল হাসান সোহানের দল।
ওই ম্যাচের পর রংপুরের পরের ম্যাচ ছিল ২৩ জানুয়ারি। এই সময়ে দল নিয়ে রংপুর শহরে গিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসে তারা, কিছুদিন আগে গায়ানায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ট্রফি জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে সমর্থকদের সঙ্গে।
বিরতির পর প্রথম ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে তারা হেরে যায় বিতর্ক ও সমস্যায় জর্জরিত দুর্বার রাজশাহীর কাছে। সেটিকে তখন স্রেফ একটি অঘটন বলেই মনে হয়েছিল। সামাজিক মাধ্যমে তারা মজা করে পোস্ট করে, ‘পঁচা শামুকে পা কেটেছে।” কিন্তু সেই শামুকে আবারও পা কাটে তাদের পরের ম্যাচেই। এবার দেশের সব ক্রিকেটার নিয়ে একাদশ গড়েও রংপুরকে আবার হারিয়ে দেয় রাজশাহী।
এই দুই হারের ক্ষত এবার হৃদয়েই অনুভব করেছেন মিকি আর্থার। মঙ্গলবার মিরপুরে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচ বললেন, বিরতিতে হারিয়ে ফেলা মোমেন্টাম দ্রুতই খুঁজে নিতে মরিয়া তার দল।
“আমার মনে হয়, আমরা মোমেন্টাম কিছুটা হারিয়ে ফেলেছি। টানা আট ম্যাচে আমরা সত্যিই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এরপর ছয় দিনের বিরতি ছিল এবং এরপর আমরা সেই মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলেছি। কোনো একজন যদি সেই বারুদ আবার জ্বালিয়ে দিতে পারে, তাহলেই আমাদের সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে আবার। তবে সেটা খুব দ্রুতই খুঁজে পেতে হবে আমাদের, আগামী সপ্তাহে টুর্নামেন্টের মূল অংশের আগেই।”
“আমাদেরকে স্রেফ আবার জয়ের পথে ফিরতে হবে এবং আগামীকাল ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরে এবং সবাইকে নিয়ে আমরা সেটা করে দেখাব।”
রাজশাহীর বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচটিতে মিরপুরে ১২০ রানের লক্ষ্যও ছুঁতে পারেরি রংপুর। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের শেষের লড়াই ম্যাচটিকে জমিয়ে তুলেছিল। কিন্তু এর আগে ৪৯ রানেই হারায় তারা ৭ উইকেট।
আর্থারের মতে, অতি রোমাঞ্চপ্রিয়তাই কাল হয়েছে তার দলের জন্য। মঙ্গলবারের অনুশীলনে তাই ব্যাটসম্যানদের ক্রিকেটীয় শটের সীমানায় ফিরিয়েছেন তিনি।
“আমরা কাজ করে চলেছি। নেটে ফিরেছি এবং যথাযথ ক্রিকেট শটের অনুশীলন করেছি। আমার মনে হয়, আমরা এই সময়ের ক্রিকেটে একটু বেশিই আটকে গেছি এবং আগের ম্যাচে যেসব শট খেলে আমরা আউট হয়েছি, সেগুলো বেশ আলগা ছিল। যথেষ্ট ভালো ছিল না এসব।”
“আমরা এসব নিয়ে কথা বলেছি। দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের ওপর আমার আস্থা আছে। কারণ ওদেরকে আমি পারফর্ম করতে দেখেছি। গায়ানার কঠিন কন্ডিশনেও (গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে) ওদেরকে ভালো করতে দেখেছি। আমাদের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য আমি জানি।”