Published : 23 Oct 2022, 05:33 PM
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই যেন বাংলাদেশের হারের খতিয়ান। গ্রুপ পর্ব কিংবা প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে জয় নেই একটিও! এই সংস্করণে কখনোই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স উজ্জ্বল ছিল না, তবে সবচেয়ে খারাপটা যেন তোলা থাকে বিশ্বকাপের জন্যই! পরিসংখ্যানের পাতায় পাতায় তারই ছাপ।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচে জয় কেবল সাতটি, হার ২৫টি, একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত।
সব আসর মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান ও উইকেট দুটোই সাকিব আল হাসানের। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার টুর্নামেন্টের ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে সেঞ্চুরি কেবল একটি, তামিম ইকবালের। ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও একজনের, মুস্তাফিজুর রহমানের।
২০০৭ আসর
শুরুটা এর চেয়ে ভালো আর হতে পারতো না! ১৩ সেপ্টেম্বর জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসানের দারুণ বোলিং আর মোহাম্মদ আশরাফুল ও আফতাব আহমেদের ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেয় তারা। অধিনায়ক আশরাফুল ২৭ বলে খেলেন ৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ৪৯ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ফেরেন আফতাব।
এই জয়ে ক্যারিবিয়ানদের পেছনে ফেলে সুপার এইট-এ খেলে বাংলাদেশ। সেখানে তিন ম্যাচেই হারে দলটি। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তাই পায়নি, যা একটু লড়াই করে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সর্বোচ্চ ১৬২ রান করেন আফতাব। প্রথম ম্যাচের ৬১ রানের ওই ইনিংসের পরও আশরাফুল করতে পারেন কেবল ৮৭ রান! কেবল পাকিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে ৪৯ বলে ৭১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন জুনায়েদ সিদ্দিক।
১৭.২৮ গড়ে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নেন আব্দুর রাজ্জাক। ১৯.৩৩ গড়ে ৬ উইকেট নেন সাকিব।
২০০৯ আসর
ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যায় স্রেফ দুই ম্যাচেই।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৮০ রান তাড়ায় ২৫ রানে হারে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে তাদের চমকে দিয়ে ৬ উইকেটে জিতে যায় আয়ারল্যান্ড!
আইরিশদের বিপক্ষে ১৯তম ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৮ উইকেটে ১১৭। সেখান থেকে মাশরাফির শেষ ওভারে ঝড়ে ১৩৭ পর্যন্ত যায় দলটির রান।
দুই ও’ব্রায়েন ভাইদের দুটি ঝড়ো ইনিংসে ওই রান নিয়ে লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৫ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৪০ রান করেন নিয়াল। ১৭ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ফেরেন কেভিন।
সেবার পঞ্চাশ ছাড়াতে পারেন কেবল জুনায়েদ সিদ্দিক। ২৭ গড়ে করেন ৫৪ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাশরাফির ৪৪।
দুটি করে উইকেট নেন নাঈম ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি।
২০১০ আসর
মাত্র ১০ মাস পর অনুষ্ঠিত পরের আসরেও একই পরিণতি হয় বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়ায় এমনিতেও কাজটা ছিল বেশ কঠিন।
সুপার এইটে উঠতে বাংলাদেশের করতে হতো বিশেষ কিছু। তবে তেমন কিছুই করতে পারেনি তারা।
‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ১৭২ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করে ১৫১ রান। ৪৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া সাকিব আল হাসান ৩১ বলে খেলেন ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি আর কেউ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচে কেবল জিতলেই হতো না। রান রেটে পেছনে ফেলতে হতো পাকিস্তানকে। অস্ট্রেলিয়াকে ১৪১ রানে থামিয়ে কিছুটা সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বোলাররা। কিন্তু ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ভীষণ চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ জাগাতে পারেনি লড়াইয়ের সম্ভাবনাও। শেষ পর্যন্ত ১১৪ রানে গুটিয়ে হেরে যায় ২৭ রানে।
আসরে দলের সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন সাকিব। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারই।
২০১২ আসর
টানা তৃতীয়বার গ্রুপ পর্বেই থমকে যায় বাংলাদেশের অভিযান। শ্রীলঙ্কার এই আসরে পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে পড়ে দলটি। আরও একবার বিদায় নেয় শূন্য হাতে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৫৮ বলে খেলা ১২৩ রানের ইনিংসে তিন উইকেটে ১৯১ রানের পাহাড় গড়ে নিউ জিল্যান্ড। নাসির হোসেনের ৩৯ বলে খেলা ৫০ রানের ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশ করে ১৩২।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৭৫ রান করেও পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ৫৪ বলে খেলেন ৮৪ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। সেই রান ৮ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে টপকে যায় পাকিস্তান।
৩৬ বলে ৭২ রানের খুনে ইনিংস খেলেন ইমরান নাজির। দুটি উইকেটই নেন পেসার আবুল হাসান।
আসরে প্রায় পঞ্চাশ গড় ও দেড়শর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৯৫ রান করেন সাকিব। তিনি ছাড়া পঞ্চাশের বেশি রান করেন কেবল নাসির (৬৬)।
দুটি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও আব্দুর রাজ্জাক। সেই প্রথম কোনো আসরে উইকেটশূন্য থাকেন সাকিব।
২০১৪ আসর
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আসর দিয়ে বদলে যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফরম্যাট। প্রথমবারের মতো অংশ নেয় ১৬ দল। আট দল সরাসরি নিশ্চিত করে সুপার এইট। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে দুটি দল তাদের সঙ্গী হয়।
‘এ’ গ্রুপে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে অনায়াসে হারায় নেপালকে।
তবে হংকংয়ের বিপক্ষে পরের ম্যাচে তালগোল পাকিয়ে আবারও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় গুটিয়ে যায় কেবল ১০৮ রানে। হংকং ১৪ ওভারের মধ্যে জিতে গেলে শ্রেয়তর রান রেটে সুপার টেনে চলে যেত নেপাল। সেটা এড়াতে পারলেও বিব্রতকর হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ২ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটের জয় পায় হংকং।
সুপার টেনে যথারীতি সব ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৭১ রান তাড়ায় থমকে যায় কেবল ৯৮ রানে। ভারতকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে হারে ৮ উইকেটে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯০ রান তাড়ায় হারে ৫০ রানে। নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৭ উইকেটে হারে স্বাগতিকরা।
৭ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১৮৬ রান করেন সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টে দলের একমাত্র ফিফটি আসে তার ব্যাট থেকেই। ৩০ এর একটু বেশি গড়ে ১৮৪ রান করেন এনামুল হক। এই দুই জনের বাইরে একশর বেশি রান করেন কেবল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
১০ উইকেট নিয়ে আসরে বাংলাদেশের সফলতম বোলার আল আমিন হোসেন। সাকিব নেন ৮ উইকেট। ৫ উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ।
২০১৬ আসর
বিশ্বকাপের ঠিক আগে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে টপকে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশকে নিয়ে ছিল দারুণ আশা। তবে প্রথম ম্যাচেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হোঁচট খেতে বসেছিল দল।
তামিম ইকবালের ৫৮ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসের সৌজন্যই ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। তাদের নাড়িয়ে দিয়ে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে নেদারল্যান্ডস।
বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া পরের ম্যাচে ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৯৪ রান করে বাংলাদেশ। ২৬ বলে ৪৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তামিম। পরের ম্যাচে ওমানকে অনায়াসে হারিয়ে সুপার টেন নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। বিশ্বকাপ তো বটেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই এটা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরি! ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান।
বৃষ্টির বাধায় ১২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ওমান পায় ১২০ রানের লক্ষ্য। দলটি ৯ উইকেটে করতে পারে কেবল ৬৫ রান। সাকিব ১৫ রানে নেন ৪ উইকেট। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫৪ রানে জেতে বাংলাদেশ।
সুপার টেনে সেই একই ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে জয়শূন্য থাকে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
পাকিস্তানের ২০১ রান তাড়ায় সাকিবের ৪০ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসে ১৪৬ পর্যন্ত যেতে পারে দল। এই ম্যাচেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। আর ক্রিকেটের দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে হাজার রান ও ৫০ উইকেটের ডাবল পূর্ণ করেন তিনি।
এরপর বড় এক ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যান দারুণ ছন্দে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদ ও দারুণ কার্যকর বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি।
গুরুত্বপূর্ণ দুই বোলারকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর শেষের ঝড়ে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান করে দলটি। ৩ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে সেই রান পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচ বাংলাদেশের ক্রিকেটে চিরন্তন এক আক্ষেপ হয়ে আছে। শেষ ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি দলটি। হেরে যায় ১ রানে।
১৪৬ রান তাড়ায় মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম দলকে নিয়ে যান জয়ের দুয়ারে। টানা দুটি চার মেরে সমীকরণ সহজ করে দেওয়া মুশফিক ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়ার শর্ট বলে ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার আশায়। ফুলটস বলে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহও। পরের বলে সিঙ্গেল নিতে পারেননি শুভাগত হোম চৌধুরি ও মুস্তাফিজুর রহমান! হৃদয় ভাঙা ১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে ১৪৫ রানে থামায় তারা। ২২ রানে ৫ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন ৭০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আগের বিশ্বকাপগুলোতে তেমন কিছু করতে না পারা তামিম ২৯৫ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সাব্বির করেন ১৪৭ রান। তাদের বাইরে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন কেবল সাকিব, তিনি করেন ১২৯ রান।
১০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার সাকিব। এই আসরে তার চেয়ে বেশি উইকেট নেন কেবল আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি (১২) ও রশিদ খান (১১)। মুস্তাফিজ নেন ৯ উইকেট। আল আমিন হোসেন আটটি।
২০২১ আসর
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবশেষ আসরেও সেই একই বৃত্তে বন্দী বাংলাদেশ।
প্রাথমিক পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানের হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে মাহমুদউল্লাহর দল। ১৪০ রান তাড়ায় বাংলাদেশ থামে ১৩৪ রানে।
পরের ম্যাচে ওমানকে হারায় ২৬ রানে। ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রাথমিক পর্বের স্বাগতিকদের ১২৭ রানে থামায় বাংলাদেশ। পাপুয়া নিউ গিনিকে ৮৪ রানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে তারা।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু করে মূল পর্ব। ১৭১ রানের পুঁজি নিয়ে ক্যাচ হাতছাড়া ও শেষের এলোমেলো বোলিংয়ে ৫ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে পাত্তাই পায়নি তারা।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে নিজের ৪০তম উইকেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন সাকিব আল হাসান।
তৃতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৬ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্রেফ ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সপ্তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
৭ ম্যাচে ১৭৪ রান করে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এর বাইরে দেড়শর বেশি রান করেন কেবল মাহমুদউল্লাহ (১৬৯)।
১১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার সাকিব। অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান ও বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান নেন ৮টি করে উইকেট।
অস্ট্রেলিয়া আসরে বাংলাদেশ খেলবে সুপার টুয়েলভ থেকে।