Published : 28 Jan 2025, 08:00 AM
একের পর এক ম্যাচে হার। ব্যাটে-বলে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স। বিদেশি ক্রিকেটারদের টানা ব্যর্থতা। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে সবার আগে টুর্নামেন্টে থেকে বিদায় নিশ্চিত হওয়া। সিলেট স্ট্রাইকার্সের টুর্নামেন্ট কেমন যাচ্ছে, সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অধিনায়ক আরিফুল হক কোনো ধরনের আড়াল না রেখে অকপটেই বললেন, এতটা বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগে কখনও হননি।
আরিফুলের মূল হতাশা দলে চোটের মহামারি নিয়ে। কিছুদিন আগে তিনি অসহায় কণ্ঠে বলেছিলেন, চোট-জর্জর দল নিয়ে একাদশ সাজানোই কঠিন হয়ে উঠছে তাদের জন্য। এর মধ্যেও দলের প্রথম ১০ ম্যাচের সবকটিতে খেলেছেন যিনি, সেই রনি তালুকদার খেলতে পারেন সোমবারের ম্যাচে।
মিরপুরে সোমবার দুর্বার রাজশাহীর কাছে ৫ উইকেটে হারে সিলেট। এটি তাদের টানা ষষ্ঠ হার। ১১ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছেন তারা স্রেফ দুবার। ম্যাচের পর আরিফুল একটু মজা করেই তুলে ধরলেন অসহায়ত্ব।
“পুরা টুর্নামেন্ট খুবই বাজে গেছে। খুবই বাজে গেছে। এরকম অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। আজকেও ওপেনার রনি সকালে উঠে বলছে, আমার ঘাড়ে লেগেছে। ধরতে হবে সেও ইনজুরড। শেষ ম্যাচেও দেখা যাবে, কেউ না কেউ বলছে যে, ‘আমি খেলতে পারব না।’ সব ইনজুরির ওপরেই আছে। অভিজ্ঞতা ভালো না।”
চোট সমস্যা তো ছিলই, সিলেটের ক্রিকেটারদের একজনও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি পারফরম্যান্সে। দেশের ক্রিকেটাররা কেউ ধারাবাহিক হতে পারেননি। বিদেশিদের পারফরম্যান্স আরও হতাশাজনক।
গত কিছুদিনে আরিফুল নিজে ও সিলেটের কোচ দলের বিদেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে হতাশার কথা জানিয়েছেন কয়েকবারই। সেই আক্ষেপ আবারও করলেন আরিফুল।
“আমার কাছে মনে হয় রাকিম (কর্নওয়াল) যদি ফুল সার্ভিস দিতে পারত, যদি জর্জ মানজি ভালো সার্ভিস দিতে পারত, পল স্টার্লিং ছিল… এরা সবাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অরনক বড় নাম। কেউ আসলে সেভাবে ডেলিভার করতে পারেনি।”
ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় লিগ, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা থাকলেও বিপিএলে এবারই প্রথম অধিনায়কত্ব করলেন আরিফুল। জাহির হাসান, জাকের আলির মতো ক্রিকেটাররা নেতৃত্ব না নিতে চাওয়াতেই মূলত আরিফুলকে বেছে নেয় দল। কিন্তু অনুরোধে ঢেকি গেলার মতোই হয়ে গেছে ব্যাপারটি তার জন্য।
“সত্যি কথা বলতে, আসলে আগে কখনও অধিনায়কত্ব করা হয়নি। করার পর বুঝতে পারলাম কতটা চাপের মধ্যে সবকিছু করতে হয়। জীবনে একটা দারুণ অভিজ্ঞতা যে, কতকিছু মেইনটেইন করে চলতে হয়।”
চিটাগং কিংসের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ দিয়ে আসর শেষ করবে চিটাগং। সব হারিয়ে এখন শেষটা ভালো করার আশায় আরিফুল।
“আশা না থাকলে পারফর্ম করা কঠিন হয়ে যায়। সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। যে ব্যাট করবে বা বল করবে, যদি ভালো করে, তার ভালোই লাগে।”
“শেষ ম্যাচটি যদি আমরা জিতে যেতে পারি, তাহলেও মনে একটা শান্তি আসবে যে অন্তত জিতে শেষ করতে পেরেছি।”