Published : 03 Feb 2025, 04:00 PM
ভিন্ন দুই সংস্করণ, ভিন্ন দুটি দেশ, দুটি ঝড়ো ইনিংস- সবই এক দিনে! অবিশ্বাস্য এই কাজটিই করেছেন দাসুন শানাকা। সকালে কলম্বোয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার পর সন্ধ্যায় দুবাইয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতে ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক।
কলম্বোর পি সারা ওভালে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে মুরস স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ৩৯ রান নিয়ে রোববার তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করেন শানাকা। ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। সাতে নেমে ৮ ছক্কা ও ১০ চারে ৮৭ বলে খেলেন ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে তার ১৪৮ রানের জুটিতে ফলো অন এড়ায় দল।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব অল আউট হয় ২৭৫ রানে। পরে মুরস স্পোর্টস ক্লাব ৬ উইকেটে ১৭১ রানে ঘোষণা করে দ্বিতীয় ইনিংস। ৩০৯ রানের লক্ষ্যে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব ১ উইকেটে ১০৫ রান করার পর ড্র হয় ম্যাচ।
উইজডেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দলের দ্বিতীয় ইনিংসের সময় মাঠে ছিলেন না শানাকা। থাকলেও তা খুব বেশি সময় নয়। সকালে তিনি যখন আউট হন, তখন দিনের খেলা হয়েছে ১৭.৩ ওভার এবং সময়ের হিসাবে সোয়া এক ঘণ্টার মতো। শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ শেষ হওয়ার খুব বেশি সময় না যেতেই দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে ব্যাট করতে নামেন তিনি।
কলম্বো থেকে আকাশপথে দুবাই যেতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘন্টা। এছাড়া স্টেডিয়াম থেকে বিমানবন্দর, সড়কপথে ভ্রমণের সময় তো আছেই।
কলম্বোয় যেখানে শেষ করেছিলেন, দুবাইয়ে আবু ধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সেখান থেকেই যেন শুরু করেন শানাকা। দুবাই ক্যাপিটালসের ইনিংসের ১৪ বল বাকি থাকতে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। ওই ১৪ বলের ১২টিই খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় তিনি করেন ৩৪ রান। ডেভিড ওয়ার্নার অপরাজিত রয়ে যান ৯৩ রানে। ২১৭ রানের পুঁজি গড়ে ম্যাচটি ২৬ রানে জেতেন শানাকা-ওয়ার্নাররা।
সাম্প্রতিক সময়ে কোনো ক্রিকেটারের একই দিনে ভিন্ন দুটি টুর্নামেন্টে খেলার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত ১ ডিসেম্বরে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল আফগানিস্তানের স্পিনার এএম গাজানফারের। শারজায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়ার কাপের ম্যাচে সকালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেন তিনি। সন্ধ্যায় আবু ধাবিতে টি-টেন লিগে খেলেন টিম আবুধাবির হয়ে। তবে সেই দুটি ম্যাচ অন্তত একই দেশেরই দুটি শহরে হয়েছিল।
শানাকার একই দিনে ভিন্ন দুটি দেশে খেলা তাই অবিশ্বাস্যই।
গত ২৮ জানুয়ারি দুবাইয়ে খেলেন তিনি দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে। এর দুই দিন পরই কলম্বোয় শুরু হয় প্রথম শ্রেণির ম্যাচটি। সেখানে তিন দিন খেলেই আবার তাকে উড়াল দিতে হলো দুবাইয়ে।
পাঁচ দিনে ৬ হাজার ৬১৪ কিলোমিটার ভ্রমণের ঝক্কি সামলে ২২ গজে পারফর্ম করাও কম কথা নয়।