Published : 24 Mar 2025, 02:52 PM
ক্রিকেট খেলতে গিয়ে তামিম ইকবালের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মাঠ থেকে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর কেটে গেছে অনেকটা সময়। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ার পর, বসানো হয়েছে স্টেন্ট। তাতে প্রাথমিক সমস্যা মিটলেও, ঝুঁকি এখনও পুরোপুরি কাটেনি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সোমবার সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচের আগে টস করেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তামিম। যদিও পরে ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি তিনি।
খেলা শুরুর আগে হুট করে বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিকেএসপির কাছেই কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে ভর্তি করা হয় তাকে। এনজিওগ্রাম করানো হলে হার্টে একটা ব্লক ধরা পড়ে এবং দ্রুততার সঙ্গে স্টেন্ট বসানো হয়।
বর্তমানে তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে বলে শুরুতে জানান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। তিনি তখন হাসপাতালেই ছিলেন। পরে ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান,
“মাঠ থেকে আসার পথে টানা ২০ মিনিট সিপিআর দেওয়া হয় তামিমকে। হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষায় একটি ব্লক ধরা পড়ে। সেটায় শতভাগ ব্লক থাকায় একটি রিং পরানো (স্টেন্ট বসানো) হয়েছে। সকালের চেয়ে তুলনামূলক ভালো আছেন তিনি, এই মুহূর্তে ২৪ ঘণ্টার জন্য তাকে সিসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
তবে হাসপাতালটির মেডিকেল ডিরেক্টর রাজীব হাসান পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানান। একই সঙ্গে তামিমকে ঘিরে শঙ্কা এখনও রয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
“তামিম ইকবাল ভাই আজকে সকালে সাড়ে ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় তাকে এখানে আনা হয় এবং চিকিৎসা শুরু হয়। পরবর্তীতে চিন্তা করি যে, তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। বিভিন্ন কারণে ঢাকায় নেওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল হয়ে যায়। ওই অবস্থায়ই তিনি আবার আসেন। ওই ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন থেকে যতগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন, সব কিছু করা হয়েছে।”
“আল্লাহর রহমতে কন্ডিশন এখন অনুকূলে আছে। তার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাই একটা এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও একটা স্টেন্ট করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে উনার স্টেন্টিং খুব স্মুদলি ও এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। ডাক্তার মনিরুজ্জামান মারুফ এই স্টেন্টিং করেছেন। এখন ওই ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে। আমরা যেমনটা বলছিলাম, একটু ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিল, স্টেন্টিংয়ের পর এখন পর্যবেক্ষণে আছেন। ক্রিটিক্যাল অবস্থা এখনও কাটেনি। একটু সময় লাগবে। আমরা সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি।”