Published : 19 May 2025, 06:13 PM
ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনাময় পরিস্থিতির পর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) আসন্ন টুর্নামেন্টগুলো থেকে ভারত নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমে। তবে বিসিসিআই সচিব দেভাজিত সাইকিয়া বললেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া তো দূরের কথা, এসব টুর্নামেন্টের বিষয়ে কোনো আলোচনাই করেননি তারা।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপে সংবাদমাধ্যমের ওইসব খবর উড়িয়ে দিয়েছেন বিসিসিআই (বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া) সচিব।
“এশিয়া কাপ ও উইমেন’স ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ, এসিসির এই ইভেন্টে বিসিসিআইয়ের অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ সকাল থেকে কিছু খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই ধরনের খবরের কোনো সত্যতা নেই, কারণ এখন পর্যন্ত বিসিসিআই আসন্ন এসিসি ইভেন্টগুলো নিয়ে এসিসিকে কিছু লেখা তো দূরের কথা, কোনো আলোচনাই করেনি বা পদক্ষেপ নেয়নি।”
“এই মুহূর্তে আমাদের মূল মনোযোগ চলমান আইপিএল এবং পরবর্তী ইংল্যান্ড সিরিজ, পুরুষ ও নারী দলের।”
সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের পর থেকেই আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় মেয়েদের ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের পাশাপাশি সেপ্টেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া ছেলেদের এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সোমবার বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করে যে, এসিসি প্রধানের দায়িত্বে যখন পাকিস্তানের একজন মন্ত্রী, তখন তার নেতৃত্বাধীন সংস্থার আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। বিষয়টি নাকি এসিসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েও দিয়েছে তারা।
বর্তমানে এসিসির সভাপতি মহসিন নাকভি, যিনি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান।
বিসিসিআইয়ের ওই সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “ভারতীয় দল এমন একটি টুর্নামেন্টে খেলতে পারে না, যার আয়োজক এসিসি এবং এর প্রধান পাকিস্তানের একজন মন্ত্রী। এর সঙ্গে গোটা দেশের আবেগ জড়িত। আসন্ন উইমেন’স ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ ও ভবিষ্যতে তাদের (এসিসি) ইভেন্টে আমাদের অংশগ্রহণ স্থগিত রাখতে আমরা এসিসির সঙ্গে মৌখিকভাবে যোগাযোগ করেছি। আমরা ভারত সরকারের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।”
বিসিসিআই সচিব বললেন, এসিসির টুর্নামেন্ট নিয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বোর্ডের তরফ থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
“এশিয়া কাপ বা অন্য কোনো এসিসি ইভেন্টের বিষয়টি কোনো পর্যায়ে আলোচনায় আসেনি, তাই এ বিষয়ে কোনো খবর বা প্রতিবেদন সম্পূর্ণরূপে অনুমাননির্ভর ও কাল্পনিক। বলা যেতে পারে যে, যখন কোনো এসিসি ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা হবে বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তখন বিসিসিআই তা যথাসময়ে ঘোষণা করবে।”