Published : 06 Jun 2025, 04:52 PM
প্রায় দুই দশক বিস্তৃত ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন পিয়ুশ চাওলা। পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ৩৬ বছর বয়সী লেগ স্পিনার।
সামাজিক মাধ্যমে ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো ছবিসহ বিশদ বার্তায় শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত জানান ভারতের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জয়ী চাওলা।
“ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা থেকে শুরু করে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলে থাকা- এই অসাধারণ যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত ছিল এক আশীর্বাদ।”
“যদিও আমি এখন সরে দাঁড়াচ্ছি, তবে ক্রিকেট সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে। এই সুন্দর খেলার শিক্ষা ও চেতনা নিয়ে আমি এক নতুন যাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
গত বছরের নভেম্বরে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিই শেষ টুর্নামেন্ট হয়ে রইল চাওলার। উত্তর প্রদেশের হয়ে হিমাচলের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
মূলত আইপিএলে দল পাওয়ার আশায় মুশতাক আলি ট্রফিতে খেলেন চাওলা। কিন্তু গত নভেম্বরে মেগা নিলামে অবিক্রিত রয়ে যান তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে চাওলার শেষ ম্যাচ অবশ্য এক যুগেরও বেশি সময় আগে। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ভারতের জার্সিতে ৩ টেস্ট, ২৫ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টিতে শেষ হলো তার ক্যারিয়ার।
চাওলার আইপিএল ক্যারিয়ার অবশ্য বেশ সমৃদ্ধ। পাঞ্জাব কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন তিনি, সব মিলিয়ে ১৯২ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৯২টি। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে আর মাত্র তিন জনের।
ভারতের ক্রিকেটে চাওলা নিজের আগমনী বার্তা দেন ২০০৫ সালের চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে দারুণ এক গুগলিতে সাচিন টেন্ডুলকারকে বোল্ড করেন তিনি। পরের বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার।
৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে চাওলার সবচেয়ে বড় অর্জন ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এছাড়া ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে জেতা ত্রিদেশীয় সিরিজের দলেও ছিলেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তর প্রদেশ ও গুজরাটের হয়ে বেশিরভাগ ম্যাচ খেলেছেন চাওলা। ১৩৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার শিকার ৪৪৬ উইকেট। এছাড়া, সাদা পোশাকে দুই সংস্করণ মিলিয়ে তার ঝুলিতে আছে মোট ৫৭৩ উইকেট।