Published : 06 Feb 2025, 12:57 PM
বিনা মেঘে বজ্রপাত বুঝি একেই বলে। অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আছেন মার্কাস স্টয়নিস। দলীয় পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জুড়েও আছেন তিনি। অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর দুই সপ্তাহ আগে হুট করেই বিদায়ের ঘোষণা দিলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার!
ওয়ানডে ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে। ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে জানান, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি।
স্টয়নিসের হঠাৎ অবসরে অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পরিকল্পনায় বড় চোট লাগল আরেকটি। দল ঘোষণার পর চোটের কারণে ছিটকে গেলেন মিচেল মার্শ। আরেক অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন তো আগে থেকেই মাঠের বাইরে। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সেরে ওঠার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শঙ্কা আছে জশ হেইজেলউডের খেলা নিয়েও। সেখানেই এখন যোগ হলো স্টয়নিসের নাম।
স্টয়নিস সবশেষ ব্যস্ত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এসএ টোয়েন্টিতে ডারবান জায়ান্টসের হয়ে। পয়েন্ট তালিকায় তলানিতে থেকে ছিটকে পড়েছে তার দল। সেখানে তার হ্যামস্ট্রিংয়ে হালকা টান লেগেছে বলেও জানা গেছে।
তবে এই তার ওয়ানডে ছেড়ে দেওয়ার মূল কারণ, টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় আরও বেশি মনোযোগী হওয়া।
“অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে পারা ছিল অবিশ্বাস্য এক ভ্রমণ এবং এই জার্সিতে প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। দেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার হৃদয়ে রয়ে যবে সবসময়ই। সিদ্ধান্তটি নেওয়া সহজ ছিল না। তবে আমার মনে হয়েছে, ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়িয়ে পরের অধ্যায়ে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার উপযুক্ত সময় এখনই।”
“রনের (অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড) সঙ্গে আমার সম্পর্ক দারুণ এবং তার সমর্থনকে সবসময় দারুণভাবে মূল্যায়ন করি আমি। পাকিস্তানের ছেলেদের সাফল্যের জন্য আমি গলা ফাটাব।”
৭১ ওয়ানডে খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে প্রায় দেড় হাজার রান ও ৪৮ উইকেট নিয়ে শেষ হলো এই সংস্করণে স্টয়নিসের অভিযান। ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ ছক্কায় ১১৭ বলে ১৪৬ রানের ইনিংস তার সর্বোচ্চ। তবে ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত নিশ্চিতভাবেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারও ছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের কথায় ফুটে উঠল, দলের কতটা জুড়ে ছিলেন স্টয়নিস
"গত এক দশকে আমাদের ওয়ানডে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল স্টয়নিস। মহামূল্য একজন ক্রিকেটারই শুধু নয়, মানুষ হিসেবেও এই দলে সে ছিল অবিশ্বাস্য, তুমুল জনপ্রিয় একজন ক্রিকেটার ও সহজাত নেতা। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার ও সার্বিক অর্জনের জন্য তাকে অভিনন্দন জানানো উচিত।"
অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলে এখন মার্শ, স্টয়নিস ও কামিন্সের বদলি খুঁজতে হবে। বাছাই করতে হবে একজন অধিনায়কও। কোচ আগেই বলেছেন, স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিসে হেডের মধ্যে একজন পাবেন নেতৃত্ব।