Published : 01 Jun 2024, 10:42 AM
যুব বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত সাফল্য পেতে পুরনো ও পরীক্ষিত কোচের ওপরই আবার ভরসা রাখল বিসিবি। আগামী যুব বিশ্বকাপ অভিযানে দলকে গড়ে তোলার দায়িত্ব পেলেন নাভিদ নাওয়াজ। সাবেক এই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের কোচিংয়েই ২০২০ যুব বিশ্বকাপে শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ, বৈশ্বিক পর্যায়ে যা এই দেশের ক্রিকেটের একমাত্র সাফল্য।
দুই বছরের নতুন দায়িত্বে তার মেয়াদ শুরু আগামী ১ জুলাই থেকে। এবার অবশ্য তার দায়িত্বের পরিধি বেড়েছে আরও। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচের পাশাপাশি বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের আওতাধীন বয়সভিত্তিক দলগুলির ব্যাটিং কোচ হিসেবেও কাজ করবেন নাওয়াজ।
খেলোয়াড়ি জীবনেই কোচিংয়ে নাম লেখানো নাওয়াজ ২০০৫ সালে খেলা ছাড়ার পর পুরোপুরি কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন ক্লাবের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ দল, মেয়েদের জাতীয় দলসহ নানা দলে কোচিং করিয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব নেন তিনি। তার কোচিংয়ে ২০১৯ যুব এশিয়া কাপে রানার্স আপ হয় বাংলাদেশ। পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপে জিতে নেয় শিরোপা।
শিরোপা জয়ের পর তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ায় বিসিবি। ২০২২ যুব বিশ্বকাপেও তার কোচিংয়ে খেলে বাংলাদেশ। এবার অবশ্য দল ভালো করতে পারেনি। তার চুক্তিও নবায়ন হয়নি। ওই বছরের এপ্রিলেই শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পান নাওয়াজ। সেই দায়িত্বে ছিলেন তিনি কদিন আগ পর্যন্তও।
এবারের যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন স্টুয়ার্ট ল ও ব্যাটিং কোচ ছিলেন ওয়াসিম জাফর। এবারও পূরণ হয়নি প্রত্যাশা। গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় হয়ে পরের পর্বে পা রাখলেও সেখান থেকে আর সেমি-ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা।
স্টুয়ার্ট ল পরে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। বাংলাদেশ যুব দলের কোচ হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন ওয়াসিম জাফর ও সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইজাজ আহমেদও। শেষ পর্যন্ত নাওয়াজের ওপরই আবার আস্থা রাখল বোর্ড।
নাওয়াজের খেলোয়াড়ি জীবনেও জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ক্যারিয়ারে একটিই মাত্র টেস্ট খেলতে পেরেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই টেস্টে করেছিলেন ২১ ও অপরাজিত ৭৮। ১৯৯৮ সালে একটি ও ২০০২ সালে দুটি ওয়ানডে তিনি খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে গেলেও সেই সময়ের তারকাসমৃদধ লঙ্কান ব্যাটিং লাইন আপে জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি।