Published : 30 May 2025, 10:45 PM
আরও একটি ম্যাচ, আবারও বিবর্ণ বোলিং প্রদর্শনী। চলতি আইপিএলের শুরু থেকে নিজেকে খুঁজে ফেরা রাশিদ খান প্লে-অফে এসেও ভালো করতে পারলেন না। তাতে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডও নিজের করে নিলেন আফগান তারকা।
আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে শুক্রবার মুল্যানপুরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে চার ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন গুজরাট টাইটান্সের রাশিদ।
এ দিন তাকে দুটি ছক্কা মারেন মুম্বাই ওপেনের রোহিত শার্মা। এর প্রথমটিতে একই সঙ্গে রোহিত যেমন আইপিএলে সাত হাজার রান ও ৩০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন, তেমনি রাশিদ গড়েন প্রত্যাশিত রেকর্ড।
এবারের আইপিএলে রাশিদের হজম করা ৩২তম ছক্কা সেটি, ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের এক আসরে যা কোনো বোলারের সর্বোচ্চ।
প্রাথমিক পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অনাকাঙ্ক্ষিত এই রেকর্ডে মোহাম্মদ সিরাজের পাশে বসেছিলেন রাশিদ। এবার ‘মুক্তি’ পেলেন সিরাজ, যিনি এখন রাশিদের সতীর্থ। ২০২২ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৫ ইনিংসে ৩১ ছক্কা খেয়েছিলেন এই ভারতীয় পেসার।
চলতি আসরে ১৫ ইনিংসে রাশিদের ছক্কা হজমের সংখ্যা এখন ৩৩টি।
এই তালিকায় যৌথভাবে তিনে আছেন দুই স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ইউজবেন্দ্রা চেহেল। ২০২২ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে হাসারাঙ্গা ১৬ ইনিংসে ও ২০২৪ সালে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে চেহেল ১৫ ইনিংসে ৩০ ছক্কা হজম করেছিলেন।
২০১৮ সালে চেন্নাইয়ের হয়ে ১৬ ইনিংসে ২৯ ছক্কা খেয়ে চারে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সফলতম বোলার রাশিদ এবারের আইপিএলে শুরু থেকেই চেনা রূপে নেই। এখন পর্যন্ত ১৫ ম্যাচ খেলে উইকেট নিতে পেরেছেন কেবল ৯টি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৯.৩৪ করে। মোট রান দিয়েছেন ৫১৪।
৯ বার আইপিএলে অংশ নিয়ে দ্বিতীয়বার পাঁচশ বা এর বেশি রান দিলেন এই লেগ স্পিনার। ২০২৩ আসরে ১৭ ইনিংসে দিয়েছিলেন ৫৫২ রান। সেবার অবশ্য ২৭ উইকেট নিয়ে গুজরাটকে ফাইনালে তুলতে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি।