বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি
Published : 18 Nov 2024, 01:56 PM
এবারের আগে চার দফায় অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সফর করেছেন ভিরাট কোহলি। প্রতিবারই তার ব্যাটের ধার টের পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান বোলিং আক্রমণ, তার ব্যাটের দ্যুতি দেখেছে অস্ট্রেলিয়ান দর্শকেরা। এখন তার বয়স পেরিয়ে গেছে ৩৬। এই পঞ্চমবারের সফরই হতে পারে সেখানে তার শেষ টেস্ট সফর। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অনুরাগীদের তাই এই কিংবদন্তির ব্যাটিং শেষবারের মতো উপভোগ করে নিতে বললেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান জাস্টিন ল্যাঙ্গার।
অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ সফরে স্রেফ এক টেস্ট খেলেই পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন কোহলি। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭৪ রান। এছাড়া বাকি সব সফরেই সেঞ্চুরি আছে তার। ২০১৪-১৫ মৌসুমে তো অ্যাডিলেইডে জোড়া সেঞ্চুরিসহ সিরিজে করেছিলেন চার সেঞ্চুরি।
সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ১৩ টেস্ট খেলে ৫৪.০৮ গড়ে তার রান ১ হাজার ৩৫২। সেঞ্চুরি করেছেন ৬টি। সফরকারী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল দুই ইংলিশ কিংবদন্তি জ্যাক হবস (২৪ টেস্টে ৯টি) ও ওয়ালি হ্যামন্ডের (১৯ টেস্টে ৭টি)। ভারতীয় কিংবদন্তি সাচিন টেন্ডুলকার সেখানে ৬টি সেঞ্চুরি করেছেন ২০ টেস্ট খেলে।
কোহলির যা বয়স, ভারতের পরের অস্ট্রেলিয়া সফরে তার থাকার সম্ভাবনা কমই। একই বাস্তবতা রোহিত শার্মা, রাভিচান্দ্রান অশ্বিন ও রাভিন্দ্রা জাদেজারও।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৩ সেঞ্চুরিতে সাড়ে সাত হাজারের বেশি টেস্ট রান করা ব্যাটসম্যান ল্যাঙ্গার দা ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ানকে বললেন, এই ক্রিকেটারদের খেলা মন ভরে উপভোগ করা উচিত দর্শকদের।
“সত্যিই এটা যদি তার (কোহলির) শেষ সময় হয় (অস্ট্রেলিয়াতে), আমার স্রেফ আশা থাকবে, লোকে যেন উপভোগ করে তার খেলা, কারণ সে একজন ‘সুপারস্টার।’ ঠিক যেমন রোহিত শার্মা, অশ্বিন, জাদেজাও… এমনকি বুমরাহ…। অস্ট্রেলিয়ানদের জন্যও ব্যাপারটা একইরকম, বোলিং আক্রমণের অনেকেই খুব সিনিয়র… কাজেই যতটা পারা যায়, উপভোগ করে নিন। এই ক্রিকেটাররা আজীবন খেলবে না।”
কোহলি-রোহিতরা অবশ্য এই সফরে গিয়েছেন প্রবল চাপকে সঙ্গী করে। সবশষ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি খুবই বাজে কেটেছে তাদের। ভারতীয় দলও তুমুল সমালোচনার মধ্যে আছে কিউইদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে।
তবে কোহলি-রোহিতদের মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে কখনও শেষ দেখে ফেলা উচিত নয়, মনে করিয়ে দিলেন ল্যাঙ্গার। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই কোচ নিজে খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় কোহলিদের পারফরম্যান্স দেখতে।
“খেলাধুলায় একটা ব্যাপার কখনোই করা উচিত নয়, তা হলো, চ্যাম্পিয়নদের গোনায় না ধরা। সব খেলার জন্যই এটা সত্যি, কারণ তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে তো কিছু কারণ আছে।”
“ভারতের দেড়শ কোটি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ আছে, এরপর গোটা বিশ্বের অন্যান্য জায়গার কথা ভাবুন। এই মানুষগুলি উৎকর্ষ ছাড়া অন্য আর কিছু চায় না। এই দল তাই তীব্র চাপে থাকবে। কাজেই তারা কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, এটা হবে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বয়স অনেক বেশি বলে লোকে হয়তো পাত্তা দিতে চাইবে না, সবসময় এরকম কথাই বলবে, তবে তাদেরকে মাঠে দেখার জন্য তর সইছে না আমার।”
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পাঁচ ম্যাচের লড়াই শুরু শুক্রবার পার্থ টেস্ট দিয়ে।