আইপিএল
Published : 22 May 2025, 10:13 PM
ছন্দেই ছিলেন মিচেল মার্শ। আগের ১১ ইনিংসে পাঁচবার স্পর্শ করেছিলেন ফিফটি। কিন্তু সেঞ্চুরি হচ্ছিল না। এবার আর মাঝপথে থামেননি লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ওপেনার। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে উপহার দিলেন আইপিএলে নিজের প্রথম শতক।
আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার চার ও ছক্কার বৃষ্টিতে ১১৭ রান করেন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের ৬৪ বলের বিধ্বংসী ইনিংসটি গড়া ৮টি ছক্কা ও ১০টি চারে।
ভাই শন মার্শের ১৭ বছর পর আইপিএলে সেঞ্চুরি করলেন মিচেল মার্শ। ২০০৮ সালে প্রথম আসরে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জার্সিতে ৭টি ছক্কা ও ১১ চারে ৬৯ বলে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শন মার্শ।
আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেখা গেল দুই ভাইয়ের সেঞ্চুরি।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি মিচেল মার্শের দ্বিতীয় শতক। ২০২১-২২ বিগ ব্যাশে পার্থ স্কর্চার্সের হয়ে ঠিক ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৫৬০ রান করেছেন মিচেল মার্শ। টুর্নামেন্টের এক আসরে লাক্ষ্ণৌয়ের কোনো ব্যাটসম্যানের যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে ৬১৬ রান করে সবার ওপরে লোকেশ রাহুল।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এদিন মুখোমুখি তৃতীয় বলে আরশাদ খানকে ছক্কায় ওড়ানোর পর রয়েসয়ে খেলায় মনোযোগ দেন মার্শ। পাওয়ার প্লেতে ওই ছক্কা ও দুই চারে ১৯ বলে করেন ২২ রান। এরপর, প্রাসিধ কৃষ্ণাকে চারের পর ছক্কায় উড়িয়ে ডানা মেলে দেন তিনি।
সাই কিশোরকে ছক্কায় উড়িয়ে মার্শ ৩৩ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া এইডেন মার্করাম ২ ছক্কা ও ৩টি চারে ২৪ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন, তাতে ভাঙে ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
ফিফটির পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন মার্শ। তার ঝড়ের বড় ঝাপটা যায় রাশিদ খানের ওপর দিয়ে। আফগান তারকা লেগ স্পিনারের ওভারে ২ ছক্কা ও ৩টি চার মারেন তিনি।
ষোড়শ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজকে চার মেরে নব্বইয়ে ঘরে পা রাখেন মার্শ। সেখান থেকে আরশাদকে চারের পর সিঙ্গেল নিয়ে কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি, ৫৬ বলে।
সেঞ্চুরির পর প্রাসিধকে টানা দুটি ছক্কায় ওড়ান মার্শ। ১৯তম ওভারে আরশাদকে ছক্কার চেষ্টায় ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগ করতে পারেননি তিনি। ডিপ পয়েন্টে বল মুঠোয় জমিয়ে মার্শের ঝড় থামান শেরফেইন রাদারফোর্ড।
মার্শের সঙ্গে পাশাপাশি খুনে ব্যাটিং উপহার দেন নিকোলাস পুরানও। তাদের দুইজনের জুটিতে আসে ১২১ রান। পুরান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫ ছক্কা ও ৪টি চারে ২৭ বলে ৫৬ রান করে। শেষ দিকে রিশাভ পান্ত ২ ছক্কায় ৬ বলে ১৬ রান করেন।
আগেই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া লাক্ষ্ণৌয়ের ইনিংস থামে ২ উইকেটে ২৩৫ রান করে। আইপিএলে যা তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই ইনিংসে ১৭টি ছক্কা মারেন দলটির ব্যাটসম্যানরা। যা তাদের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ।