পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে সিরিজ
Published : 28 Nov 2024, 08:38 PM
আগের ছয় ওয়ানডের দুটিতে ব্যাটিং পেয়ে কামরান গুলাম আউট হয়েছিলেন অল্প রানে। সেই হতাশা পেছনে ফেলে এবার তিনি উপহার দিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। সঙ্গে অন্যদের অবদানে যে উচ্চতায় পৌঁছাল পাকিস্তানের রান, তার ধারেকাছে যেতে পারল না জিম্বাবুয়ে। অনায়াস জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের জয় ৯৯ রানে। হারে শুরুর পর তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল তারা।
বুলাওয়ায়োতে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ৫০ ওভারে করে ৩০৩ রান। তাদের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই ত্রিশ স্পর্শ করলেও, ইনিংস বড় করতে পারেন কেবল কামরান।
তিনে নেমে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় তিনি খেলেন ৯৯ বলে ১০৩ রানের ইনিংস। গত মাসে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরির পর এবার সপ্তম ওয়ানডেতে প্রথম শতকের স্বাদ পেয়ে গেলেন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। সঙ্গে একটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা তিনিই।
ফিফটি করে আউট হন ওপেনার আবদুল্লাহ শাফিক। তার ৬৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস গড়া ৫ চার ও এক ছক্কায়।
বড় লক্ষ্যে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের ফিফটির পরও জিম্বাবুয়ে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় ৪০.১ ওভারে।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সাইম আইয়ুব, আবরার আহমেদ, হারিস রউফ ও আমের জামাল।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শাফিক ও সাইমের ব্যাটে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৫৮ রান। আগের ম্যাচে ঝড়ো সেঞ্চুরি উপহার দেওয়া সাইম এবার ৩৭ বলে করেন ৩১।
ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই বিদায় নেন শাফিক। তৃতীয় উইকেটে ইনিংস সেরা ৯২ বলে ৮৯ রানের জুটিতে দলকে টানেন কামরান ও রিজওয়ান। অধিনায়ক রিজওয়ান ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৭ বলে করেন ৩৭ রান।
৫৯ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া কামরান পরের ৩৭ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি তিনি। সালমান আলি আগার ২৬ বলে ৩০ ও তাইয়াব তাহিরের ১৬ বলে অপরাজিত ২৯ রানের ক্যামিওতে তিনশ ছাড়ায় সংগ্রহ।
শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তান তোলে ১০৩ রান।
রান তাড়ায় শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানের বোলিং শুরু করা সাইম তার দ্বিতীয় ওভারে ফিরিয়ে দেন জয়লর্ড গাম্বি ও ডিওন মেয়ার্সকে। দলীয় পঞ্চাশের আগে ফিরে যান টাডিওয়ানাশে মারুমানিও।
পরের পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই টুকটাক রান পান বটে, কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। জিম্বাবুয়েও তাই আশা জাগাতে পারেনি কখনোই।
৬৩ বলে ৫১ রান করে ফেরেন আরভিন। শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। ব্রায়ান বেনেটের ২৭ বলে ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধানই কমে শুধু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩০৩/৬ (সাইম ৩১, শাফিক ৫০, কামরান ১০৩, রিজওয়ান ৩৭, সালমান ৩০, তাহির ২৯*, ইরফান ৩, জামাল ৫*; রাজা ১০-০-৪৭-২, এনগারাভা ১০-০-৫৫-২, মুজারাবানি ১০-০-৬৬-১, উইলিয়ামস ১০-০-৪৩-০, ফারাজ ৮-০-৬৩-১, বেনেট ২-০-২৭-০)
জিম্বাবুয়ে: ৪০.১ ওভারে ২০৪ (গাম্বি ৫, মারুমানি ২৪, মায়ার্স ৪, আরভিন ৫১, উইলিয়ামস ২৪, রাজা ১৬, বেনেট ৩৭, মাডান্ডে ২০, ফারাজ ৫, এনগারাভা ১৭, মুজারাবানি ০* সাইম ৪-০-২৯-২, সালমান ৭-০-৩৩-০, আবরার ৯-২-৪৫-২, রউফ ৭.১-১-৩৪-২, জামাল ৫-১-১৯-২, ফয়সাল ৬-০-৩৭-১, কামরান ২-০-৭-১)
ফল: পাকিস্তান ৯৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী পাকিস্তান
ম্যান অব দা ম্যাচ: কামরান গুলাম
ম্যান অব দা সিরিজ: সাইম আইয়ুব